নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৬ সালে: শিক্ষামন্ত্রী

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৬ সালে: শিক্ষামন্ত্রী। চলতি বছর থেকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। সে হিসেবে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আগামী ২০২৬ সাল থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  তিনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে লাগবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। এর পর ২০২৬ সালে এ শিক্ষাক্রমের আলোকে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করবে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান তিনি। গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর বা ২০২৪ সালে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ সালে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিক একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ সালে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৬ সালে: শিক্ষামন্ত্রী

এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিকুলামের নানা দিক বুঝে উঠতে আমাদেরও কিছুটা সময় লাগছে। শিক্ষক, অভিভাবকদেরও অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। তবে, আমরা সৌভাগ্যবান শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত হতে অনেক কম সময় লাগছে। সূত্র: রাইজিংবিডিতিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। স্মার্ট শিক্ষার মধ্যে দিয়েই স্মার্ট সিটিজেন তৈরি হবে। স্মার্ট শিক্ষার বড় উপাদান হলো নতুন শিক্ষাক্রম। অনেক পরিশ্রম করে আমরা সকলে মিলে একটা ভালো শিক্ষাক্রম তৈরি করতে পেরেছি।

তিনি  বলেন, স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণে এ এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করা হয়েছে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞদের মতামত আমরা পাবো। এর ফলে আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে পারব।জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের ইঙ্গিত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিক্ষাকে সার্বিক শিক্ষায় পরিণত করা। সেটা যে স্ট্রিমেই হোক না কেন। মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও যেন জীবন সম্পর্কিত সব দক্ষতা পায়, সে যেন ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীর থেকে পিছিয়ে না থাকে। সব শিক্ষার্থী যেন সব স্কিল ও নলেজ পায়, সেটা আমাদের স্মার্ট এডুকেশনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে আমাদের ২০১০ সালের যে শিক্ষানীতি ছিল তা আরও পরিবর্তন বা রূপান্তরের আলোচনা আনা উচিত, সে আলোচনা আসছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট শিক্ষার কৌশল নির্ধারণে মাউশি অধিদপ্তর তিন দিনব্যাপী এই ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করেছে। এতে ২০টি স্মার্ট শিক্ষা কার্যক্রম প্রদর্শন ও ১১টি সেমিনার হবে। এর মাধ্যমে একটি কেন্দ্রীয় স্মার্ট শিক্ষা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হবে।

Leave a Comment