ঝুঁকিপূর্ণ ২০ জন পাচ্ছেন গানম্যান, আরও আবেদনকারীরা রয়েছেন

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় ঝুঁকিতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ২০ ব্যক্তিকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা হিসেবে গানম্যান প্রদান করা হয়েছে। এই তালিকায় রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সমাজের পরিচিত মুখরা রয়েছেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “এ পর্যন্ত ২০ জনকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে। তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।” তিনি আরও জানান, শুধু রাজনৈতিক নেতারা গানম্যান পাচ্ছেন না; ডিজিএফআই, এনএসআই ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার যারা ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদেরও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তবে অনেকেই ব্যক্তিগত কারণে গানম্যান নিতে অস্বীকার করেছেন।

উল্লেখযোগ্য তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন:

নামপদ ও সংগঠনমন্তব্য
নাহিদ ইসলামজাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আহ্বায়কনিরাপত্তা প্রাপ্ত
আখতার হোসেনএনসিপি, সদস্যসচিবনিরাপত্তা প্রাপ্ত
হাসনাত আব্দুল্লাহএনসিপি, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়কনিরাপত্তা প্রাপ্ত
সারজিস আলমএনসিপি, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়কনিরাপত্তা প্রাপ্ত
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীএনসিপি, মুখ্য সমন্বয়কনিরাপত্তা প্রাপ্ত
তাসনিম জারাএনসিপি, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিবনিরাপত্তা প্রাপ্ত
নুরুল হক নুরগণ অধিকার পরিষদ, সভাপতিনিরাপত্তা প্রাপ্ত
মো. রাশেদ খানগণ অধিকার পরিষদ, সাধারণ সম্পাদকনিরাপত্তা প্রাপ্ত

এছাড়া আরও কয়েকজন রাজনীতিক ও সংসদ-সদস্য প্রার্থী গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন:

  • জামায়াতে ইসলামী, আমির শফিকুর রহমান – সার্বক্ষণিক গানম্যান ও বাসভবনের নিরাপত্তা

  • জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

  • ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ

  • লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ

  • গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি

  • ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ইউনুস আহ্মেদ সেখ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, “নিরাপত্তা চাহিদা অনুযায়ী গানম্যান ও অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত প্রদান করা হবে। এটি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের অঙ্গীকার।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে পারবে, বিশেষ করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে।

এইভাবে, ২০ জনকে সরাসরি নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে আরও আগ্রহী ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে, যা দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।