খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে আহত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সোনাডাঙ্গার একটি বাসায় হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মোতালেব শিকদারকে দ্রুত খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোতালেব শিকদার এনসিপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক এবং খুলনা বিভাগের আহ্বায়ক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের মধ্যে সংগঠন এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এনসিপির খুলনা মহানগরের সংগঠক সাইফ নেওয়াজ জানান, “মোতালেব শিকদার সম্প্রতি খুলনায় দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সমাবেশের পরিকল্পনা অনুসারে শ্রমিকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ছিল তার দায়িত্ব।”
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি অনিমেষ মণ্ডল বলেন, “মোতালেব শিকদারের উপর হামলা চালানো হয়েছে। উপস্থিত জনতা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আমরা বিস্তারিত পরে জানাব।”
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গুলির আওয়াজে পুরো এলাকা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে মোতালেব শিকদারের বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়েছে। হামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকতে পারে বলে বিভিন্ন মহলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন হামলা স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এনসিপি নেতারা দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত মোতালেব শিকদারের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকরা তার অবস্থার উন্নতির জন্য তৎপর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আহত নেতার নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিশ এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে। আশেপাশের নিরাপত্তা ব্যারিয়ার বসানো হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।
ঘটনাটি খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী সময়ে রাজনৈতিক সমাবেশ এবং কর্মসূচিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
