সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ। যিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৩৬ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।
Table of Contents
সৈয়দা জোহ্রা আলাউদ্দিন । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সৈয়দা জোহ্রা আলাউদ্দিনের জন্ম মৌলভীবাজার পৌর শহরের কাজীরগাও এলাকায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো: আলাউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী। তার মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন চৌধুরী।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
জোহরা আলাউদ্দিন ১৯৬৭ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্য হিসাবে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করে পরে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভানেত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করেন। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় থাকায় কারাবরণ করেন।
১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরও তিনি কারাবরণ করেন।
তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ মৌলভীবাজার জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী ও জাতীয় মহিলা সংস্থা মৌলভীবাজার এর প্রতিষ্ঠা কালীন চেয়ারম্যান। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-৩৬ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বাংলা: বাংলাদেশ গণসংঘ) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম “আওয়ামী লীগ” করা হয়।

ইতিহাস
প্রতিষ্ঠা
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক।
পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।

আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে ঢাকা ১৫০ নম্বর মোগলটুলিস্থ পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের উদ্যোগের সম্পর্ক অনস্বীকার্য। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শওকত আলী। তার উদ্যোগে ১৫০ নং মোগলটুলিস্থ শওকত আলীর বাসভবন এবং কর্মী শিবির অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ২৩ জুনের কর্মী সম্মেলনে দলের ঘোষণা দেয়া হয়।
শওকত আলীর অনুরোধে কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার কাজে ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
আরও দেখুনঃ