দুই বড় ছবি বাদ হলেও দিনের ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করব না

পরপর দুটি বড় প্রজেক্ট থেকে বাদ পড়ার পরও দীপিকা পাড়ুকোন নিজের কাজের সীমা স্পষ্ট করেছেন। প্রথমে ‘স্পিরিট’, তারপর ‘কল্কি ২৮৯৮’-এর সঙ্গে যুক্ত বিতর্কে উঠে আসে অভিনেত্রীর কর্মঘণ্টা বিষয়ক অবস্থান। কল্কি সিক্যুয়াল থেকে বাদ পড়ার পর বিষয়টি আরও বেশি সমালোচনার জন্ম দেয়, যা এখনও সামাজিক ও বিনোদন মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

দীপিকা হারপার্স বাজার ইন্ডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানান, মাতৃত্ব তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আপনি মা হয়ে গেলে বুঝবেন কাজ এবং মাতৃত্ব একসাথে এগোনোর কঠিনতা। এখন আমি মায়েদের আরও বেশি শ্রদ্ধা করি এবং নতুন মায়েদের কাজে ফেরার সময় সমর্থন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি।”

তিনি আরও বলেন, দিনে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করার ধারণা ভুল। “অতিরিক্ত সময় কাজকে আমরা স্বাভাবিক হিসেবে দেখার ভুল করি। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য আট ঘণ্টা যথেষ্ট। সুস্থ থাকলে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারি। ক্লান্ত ব্যক্তিকে দিয়ে কখনো কাজ করানো সম্ভব নয়।” দীপিকা বলেন, তিনি নিজের অফিসে সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আট ঘণ্টা কাজ করেন এবং মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকে সমান গুরুত্ব দেন। শিশুদের কর্মক্ষেত্রে আনাকে স্বাভাবিক করা উচিত, এমন ভাবনাও তিনি উত্থাপন করেছেন।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর কিছুদিন কাজ থেকে বিরতি নেন দীপিকা। এরপর দুটো ছবি থেকে বাদ পড়লেও তিনি শাহরুখ খানের ‘কিং’-এ এবং আল্লু অর্জুনের বিপরীতে অ্যাটলি কুমার পরিচালিত AA22 x A6 প্রজেক্টে ব্যস্ত। বিষয়টি প্রমাণ করে, কোনো পরিস্থিতিতেই তিনি নিজের পেশাদারিত্ব এবং স্বাস্থ্য-সচেতন সীমা ছাড়েন না।