ইরানের সামরিক বাহিনী যে কোনো শত্রুতামূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে দৃঢ় ও সিদ্ধান্তমূলক জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামি। সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থাপিত সেনা ইউনিট পরিদর্শনকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
পরিদর্শনের সময় মেজর জেনারেল হাতামি সেনাদের মানসিক প্রস্তুতি, অস্ত্র, অপারেশনাল সক্ষমতা এবং যুদ্ধসজ্জা খুঁটিয়ে পর্যালোচনা করেন। তিনি বলেন, “সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর মনোবল অত্যন্ত উচ্চ। ইসরাইলি শাসনের চাপিয়ে দেওয়া ১২ দিনের যুদ্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের অস্ত্র, সরঞ্জাম ও লজিস্টিক সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করা হয়েছে।”
সেনাপ্রধান আরও জানান, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী সমমুখী (conventional) এবং অসমমুখী (asymmetric) উভয় ধরনের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি জোরদার করছে। সীমান্তের প্রতিটি নড়াচড়া এবং সম্ভাব্য শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “কোনো ধরনের অপচেষ্টার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। আমরা দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপস করব না।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্তে এই ধরনের শক্তিশালী প্রস্তুতি ইরানের সামরিক কৌশলকে আরও দৃঢ় করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিভিন্ন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, যার মধ্যে সীমান্তে অবৈধ প্রবেশ, সামরিক উত্তেজনা এবং প্রভাব বিস্তারমূলক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য।
সীমান্ত পরিস্থিতি সংক্রান্ত মূল তথ্য:
| বিষয় | বিবরণ |
| সেনাপ্রধান | মেজর জেনারেল আমির হাতামি |
| অঞ্চলের নাম | পশ্চিম ইরান, সীমান্তবর্তী এলাকা |
| সামরিক প্রস্তুতি | উচ্চ মনোবল, উন্নত অস্ত্র ও সরঞ্জাম, লজিস্টিক সক্ষমতা |
| যুদ্ধ দক্ষতা | সমমুখী ও অসমমুখী যুদ্ধের প্রস্তুতি |
| সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা | ইসরাইলি চাপিয়ে দেওয়া ১২ দিনের যুদ্ধ অভিজ্ঞতা |
| লক্ষ্য | সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা, শত্রু তৎপরতার কঠোর মোকাবিলা |
সেনাপ্রধানের এই হুঁশিয়ারি কেবল অভ্যন্তরীণ মনোবল বৃদ্ধিই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি শক্তিশালী সংকেত হিসেবেও ধরা হচ্ছে। সীমান্তে সতর্কতা বৃদ্ধি, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত উত্তেজনা প্রতিরোধ এবং দেশের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ইরান তার সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতিতে রাখছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জগুলো যেমন আন্তর্জাতিক উত্তেজনা, সীমান্ত লঙ্ঘন ও অবৈধ কার্যক্রম—সেগুলো মোকাবিলার জন্য এই প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির প্রতিরক্ষা কৌশল অনুযায়ী, শক্তি প্রদর্শন শুধু প্রতিরক্ষা নয়, পাশাপাশি সম্ভাব্য আগ্রাসীকে সতর্ক করার কৌশল হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
সীমান্তে এই মনোভাব কি স্থায়ী শান্তি আনবে, নাকি নতুন উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটাবে—এটি সময়ই বলবে। তবে মেজর জেনারেল হাতামির বক্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, ইরান যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম।
