যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফিলিস্তিনি পাসপোর্টসহ আটটি দেশের নাগরিকদের জন্য পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে “জাতীয় ও জন নিরাপত্তার জন্য প্রদর্শিত স্থায়ী ও গুরুতর ঘাটতি মোকাবেলার জন্য।”
নিষিদ্ধ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো হলো: বুরকিনা ফাসো, মালি, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, সিয়েরা লিওন, লাওস, সিরিয়া এবং ফিলিস্তিন। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নতুন ভিসা নিয়ম ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি কঠোর করার ধারাবাহিক অংশ। গত নভেম্বরে ১৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য সমস্ত ভিসা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিল। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম জানান, এই তালিকা ৩২টি দেশে সম্প্রসারিত হবে। তবে বাকি দেশের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্দুক হামলার পর ফিলিস্তিনিদের ওপর মার্কিন পদক্ষেপকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। হামলায় ১৫ জন ইহুদি নিহত হয়। এর ফলে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানান।
সিরিয়ার নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়া বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। কারণ সম্প্রতি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়াও সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক সশস্ত্রগোষ্ঠী আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন দোভাষীর মৃত্যুর ঘটনা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলেছে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সিরিয়ার কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে পাসপোর্ট এবং নাগরিক নথি যাচাই-বাছাই করতে সক্ষম নয়। নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা থাকা সত্ত্বেও, এই পদক্ষেপ অপরিহার্য।”
এই নতুন নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয়ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নীতি প্রভাবিত করবে।