বদলে যাচ্ছে ইন্ডিয়ার নাম, খরচ হবে ১৪ হাজার ৩৪ কোটি রুপি। দক্ষিণ আফ্রিকার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনজীবী ও ব্লগার ড্যারেন অলিভিয়ের মডেলের মাধ্যমেই এই হিসাব সামনে এসেছে। ২০১৮ সালে ‘সোয়াজিল্যান্ড’ দেশটির নাম ‘এসওয়াতিনি’ হয়। সেই সময়ে এই মডেল ব্যবহার করেন অলিভিয়ের। বৃহৎ সংস্থাগুলো (কোম্পানি) যেভাবে নাম পরিবর্তন বা ‘রিব্র্যান্ডিং’ করে, তেমনভাবেই দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি তুলনা করেন তিনি। সাধারণত, বিপণনের জন্য গড় আয়ের ৬ শতাংশ কোনও বৃহৎ সংস্থার খরচ হয়। ‘রিব্র্যান্ডিং’ করতে সেই বিপণন বাজেটের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ খরচ হয়ে থাকে।
বদলে যাচ্ছে ইন্ডিয়ার নাম, খরচ হবে ১৪ হাজার ৩৪ কোটি রুপি
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে রাজস্ব বাবদ ভারতের রাজকোষে অর্থ এসেছে ২৩.৮৪ লাখ কোটি রুপি। সে প্রসঙ্গকে ব্যবহার করে অলিভিয়ের মডেল বলছে, দেশের নাম পরিবর্তনের জন্য সবমিলিয়ে ১৪ হাজার ৩৪ কোটি রুপি খরচ হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের।

এর বাইরে ভারতের কারেন্সি নোট নতুন করে ছাপতে হবে। এমনকি নাগরিকদের নাগরিকত্বের পরিচয় পাসপোর্ট থেকে আধার কার্ড থেকে প্যান কার্ড থেকে ভোটার কার্ড সবকিছু বদলাতে হবে। সামান্য এটুকুতেই কত খরচ হবে? খুব সাধারণ ধারণা হল- অন্তত দেড় লাখ কোটি রুপি, এর সঙ্গে সরকারি নথি, দপ্তর ইত্যাদির নাম বদলাতে হলে আরও ৫০ হাজার কোটি রুপি খরচ হবে।
এ ছাড়াও নাম বদলাতে হলে সংবিধানের ঘোষণাপত্র থেকে সংবিধানের কম করেও ৩০-৪০টি সংশোধনী আনতে হবে। কেবল তাই নয়, এই বিল রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা থেকেও পাস করাতে হবে, লোকসভা, রাজ্যসভা তো বটেই। সেক্ষেত্রেও খরচের বহর কম হবে না।

অলিভিয়ের মডেল বলছে, সবমিলিয়ে ভারতের এক মাসের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত অর্থের থেকেও নাম পরিবর্তনের খরচ বেশি হবে।