ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) সাম্প্রতিক একটি সংবাদ প্রতিবেদনে ব্যবহৃত একটি বাক্যাংশ ঘিরে সৃষ্ট সম্ভাব্য বিভ্রান্তি দূর করতে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে। ব্যাংকটি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে তাদের যোগাযোগে কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা কিংবা অনীহা নেই। বরং নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে ইউসিবির সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই পেশাদার, নিয়মিত ও সহযোগিতামূলক।
এই ব্যাখ্যা আসে ২০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্যাংকিং গুরুকুল-এর একটি প্রতিবেদনে “The Big Comeback: How UCB, IFIC and Islami Bank Won Back Billions in Deposits” শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি, তারল্যের উন্নতি এবং গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধীরে ধীরে ফিরে আসার চিত্র তুলে ধরা হয়। সামগ্রিকভাবে প্রতিবেদনটির সুর ছিল ইতিবাচক ও আশাব্যঞ্জক, যা ব্যাংকিং খাতের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে।
তবে ইউসিবির মতে, ওই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত “limited access to the regulator” বা “নিয়ন্ত্রকের কাছে সীমিত প্রবেশাধিকার” শব্দবন্ধটি অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ধারণা দিতে পারে যে, এটি ইউসিবির নিজস্ব অভিজ্ঞতা বা অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। এই সম্ভাব্য ভুল ব্যাখ্যা এড়াতেই ব্যাংকটি প্রকাশ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করা প্রয়োজন মনে করেছে।
ইউসিবির বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে তাদের যোগাযোগ সবসময়ই স্বচ্ছ, সময়োপযোগী ও গঠনমূলক। নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময়, প্রয়োজন অনুযায়ী বৈঠকে অংশগ্রহণ, নীতিগত ও নিয়ন্ত্রক বিষয়ক দিকনির্দেশনা গ্রহণ—সবকিছুই নির্বিঘ্নে পরিচালিত হচ্ছে। ইউসিবির দাবি, নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা কখনোই ছিল না।
ব্যাংকটি আরও উল্লেখ করেছে যে, বিএসইসি থেকে পাওয়া দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা ইউসিবির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রক মানদণ্ড মেনে চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই পারস্পরিক সহযোগিতা প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনকে শক্তিশালী করে এবং বাজারের বিনিয়োগকারী ও অংশীজনদের আস্থা বাড়ায়।
ইউসিবি জোর দিয়ে বলেছে, প্রতিবেদনে উল্লিখিত “সীমিত প্রবেশাধিকার” মন্তব্যটি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া কোনো তথ্যের ভিত্তিতে নয় এবং এটি ব্যাংকের বাস্তব অভিজ্ঞতাকেও প্রতিফলিত করে না। তাই এই ব্যাখ্যার উদ্দেশ্য কেবলমাত্র পাঠক ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের কাছে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা।
বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে ইউসিবি আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা ও সততা রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভূমিকার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছে। ব্যাংকটির মতে, নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে ইতিবাচক, উন্মুক্ত ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বজায় রাখা শুধু প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব নয়, বরং তাদের নৈতিক অঙ্গীকারের অংশ।
সবশেষে ইউসিবি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে, এই ব্যাখ্যা বিষয়টি নিয়ে থাকা সব ধরনের অস্পষ্টতা দূর করবে এবং দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা জোরদারে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অব্যাহত থাকবে।