দেশের সব এলাকায় হাই অ্যালার্ট, নিরাপত্তা জোরদার

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজ, ১৩ নভেম্বর, দেশের সব এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজধানী ঢাকার কিছু এলাকায় গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, যার ঘটনায় এক বাসচালক মারা গেছেন। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নির্বাচন কমিশন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার আশপাশে ককটেল-বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শহরের বাতাসে রাসায়নিক গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রাজধানীতে চলাচল সীমিত, সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা, এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ সভায় অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে, এজন্য মাঠ পুলিশ সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।

নিরাপত্তা পরিকল্পনায় রয়েছে বিমানবন্দর, হোটেল, হাসপাতাল, আদালত, বিশ্ববিদ্যালয়, শপিংমল, প্রশাসনিক ভবন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিশেষ চেকপোস্ট ও তল্লাশি। সাইবার নিরাপত্তা, ফুটপ্যাথ-পেট্রোলিং ও হোন্ডা-পেট্রোলিংসহ সব ধরনের ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গত এক সপ্তাহে দেশে নাশকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৫০০–২০০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে ৭২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের আশা, এই প্রস্তুতি এবং সতর্ক অবস্থানের মাধ্যমে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেছেন, “নাগরিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ অপতৎপরতা চালালে তা দমন করা হবে। শহরে বিশৃঙ্খলার জন্য আমাদের কড়া অবস্থান রয়েছে।”