গাজীপুর জেলার বাঘের বাজার এলাকায় অবস্থিত ফিনিক্স কয়েল কারখানায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসকে তাৎক্ষণিকভাবে খবর দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ৫টি অতিরিক্ত ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। মোট ৭টি ইউনিট মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানার শেড, কয়েল এবং কয়েলের ট্রলি পুড়ে গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তারা আরও জানিয়েছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার কারণে কারখানার কিছু অংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানার আশেপাশের এলাকায় ধোঁয়ার কালে কুয়াশার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মানুষজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পাশাপাশি, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশেপাশের ভবনগুলোতে আগুনের ছড়াছড়ি রোধ করতে বিশেষ নজর রাখছেন।
নিম্নে অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| কারখানার নাম | ফিনিক্স কয়েল কারখানা |
| অবস্থান | বাঘের বাজার, গাজীপুর |
| ঘটনা তারিখ ও সময় | ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবার, দুপুর |
| আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঠানো ইউনিট | প্রথমে ২টি, পরে ৫টি অতিরিক্ত, মোট ৭টি ইউনিট |
| ক্ষতিগ্রস্ত অংশ | কারখানার শেড, কয়েল, কয়েলের ট্রলি |
| আগুনের কারণ | অজানা (প্রাথমিক রিপোর্ট) |
| প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ | অজানা (তদন্ত চলমান) |
| স্থানীয় প্রভাব | ধোঁয়া ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়া, আশেপাশের মানুষ নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত |
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনও সময় লাগতে পারে। তারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন এবং আশেপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, পরিবেশ দূষণ এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগও প্রস্তুত অবস্থানে রয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, কারখানার আশেপাশের এলাকা ছোট আকারের হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত প্রতিক্রিয়া আগুনকে সীমিত অংশে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করেছে।
এ বিষয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তারা কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আগুন লাগার সম্ভাব্য কারণ এবং কারখানার মালিকপক্ষের দায়বদ্ধতা যাচাই করছেন। আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আগুনের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কারখানাগুলিকে নিয়মিত অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, আগুন লাগার পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য স্থানীয় জনগণকেও সচেতন করা প্রয়োজন।
