গাজায় অবরোধ ও বোমা হামলা গণহত্যা: এরদোগান

গাজায় অবরোধ ও বোমা হামলা গণহত্যা: এরদোগান। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধ ও বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। গাজায় নির্বিচারে বোমা ফেলে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করাকে তিনি ‘গণহত্যা’ বলেও অভিহিত করেছেন। 

গত বুধবার পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদস্যদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, যুদ্ধেরও একটি ‘নৈতিকতা’ আছে কিন্তু চলমান সংঘাতে সেটি ‘খুব মারাত্মকভাবে’ লঙ্ঘন করা হয়েছে।

গাজায় অবরোধ ও বোমা হামলা গণহত্যা: এরদোগান

গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি হামলায় গাজার অবকাঠামো ধ্বংস হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘মানুষকে তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে বাধা দেওয়া এবং বেসামরিক লোকজনের বাসস্থানে বোমা হামলা করা কোনও যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা প্রকাশ্যে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে বেসামরিক হত্যার বিরোধিতা করছি। একইভাবে আমরা কখনোই গাজায় নির্বিচারে, অবিরাম বোমা হামলার মাধ্যমে অরক্ষিত নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যা মেনে নিতে পারি না।’

হামাসের আক্রমণের প্রতিশোধ নিতে গত শনিবার থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী টানা ছয় দিন নির্বাচার বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ১২০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫ হাজার ৬০০ আহত হয়েছেন। গাজা ভূখণ্ডে ২৩ লাখ মানুষ বাস করেন এবং সেখানে খাদ্য ও জ্বালানি পৌঁছানোর পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।

এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নিপীড়নমূলক নীতিই চলমান সংঘাতের কারণ। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, রাষ্ট্র হিসাবে কাজ না করে তারা কেবল একটি সংগঠনের মতো কাজ করলে তাদেরকে সেভাবেই দেখা হবে।’ তিনি পিকেকেকে বোঝাতে সাধারণত ‘সংগঠন’ শব্দ ব্যবহার করেন।

এরদোগান গাজায় ইসরায়েলের ‘মাত্রাতিরিক্ত’ হামলাকে ‘নৈতিকতা বিবর্জিত’ বলে সমালোচনা করেছেন এবং বিশ্বকে ‘অন্ধভাবে’ একটি পক্ষ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, সংকটের অন্তর্নিহিত সমস্যাটিকে অমীমাংসিত রেখে নতুন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা উভয়পক্ষকে আরও সহিংস সংঘাতের দিকে নিয়ে যাবে।

হামাসের যোদ্ধাদের হাতে জিম্মি হিসেবে আটক ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মুক্ত করতে হামাস হাইকমান্ডের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দেশটির বেসরকারি টেলিভিশন হাবেরতুর্ককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এই আলোচনায় যেন সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের নেতারাও যাতে অংশ নিতে পারেন, সেই চেষ্টাও করছেন আমাদের প্রেসিডেন্ট।’

Leave a Comment