হ্যাগলি ওভাল সবসময়ই পেসারদের জন্য স্বর্গ হিসেবে বিবেচিত। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, সবুজ পিচ এবং আর্দ্রতা—এই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং মানে শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই কঠিন পরীক্ষা। নিউজিল্যান্ড সেই পরীক্ষায় প্রথম দিন বেশ কয়েকবার চাপে পড়েছে, আবার কয়েকবার নিজেদের শক্তি প্রমাণ করেছে। দিনের শেষে তারা ২৩১/৯ স্কোরে থামে—যা উইন্ডিজের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের মধ্যে কিউই ব্যাটসম্যানদের সংগ্রামী মানসিকতার পরিচায়ক।
সকালে টস জিতে রস্টন চেজের সিদ্ধান্তে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠানো যৌক্তিক মনে হয়েছিল। তবে কেমার রোচ তৃতীয় বলেই কনওয়েকে আউট করে দর্শকদের মনে আগুন জ্বালেন। খেলা শুরুতেই দমবন্ধ করা বোলিং, সঙ্গে হালকা বৃষ্টি—নিউজিল্যান্ড পুরো সকাল জুড়ে রক্ষণাত্মক অবস্থায় খেলতে বাধ্য হয়।
লাঞ্চের পর আসে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটিং। তার প্রতিটি শট ছিল অত্যন্ত সাবধানী ও মেপে খেলা; প্রতিটি লেট প্লে যেন অভিজ্ঞতার ছাপ রেখেছিল। তবে উইন্ডিজের ক্রিস গ্রিভসের নিখুঁত লাইন–লেংথের সামনে তিনিও টিকতে পারেননি। ঠিক পরপর লাথামও আউট হন, এবং নিউজিল্যান্ড দ্রুত ১৪৮/৬-এ পড়ে, যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো ভেঙে যাচ্ছে।
দৈনিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের মোড় আসে ব্রেসওয়েল ও নাথান স্মিথের জুটির মাধ্যমে। একজন ছিলেন আক্রমণাত্মক, অন্যজন দৃঢ় রক্ষণাত্মক। দুইজনের সংমিশ্রিত লড়াই কিউই ব্যাটিংকে আবার স্থিতিশীল করে, যেন তারা কিউই ব্যাটিং ‘টাইটানিক’-কে ডুবতে দেননি।
অন্ধকার নেমে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ২৩১/৯। উল্লেখযোগ্য যে, উইন্ডিজের ২৩টি অতিরিক্ত রান কিউইদের অঘোষিত বোনাস হিসেবেই ছিল। পিচ এখনও পেসারদের সহায়, তাই দ্বিতীয় দিনে উইকেট দ্রুত পড়লে এই স্কোর আরও বেশি মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে।
সকালে টস জিতে রস্টন চেজ ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই যৌক্তিক ছিল। শুরু থেকেই কেমার রোচের বোলিংয়ের তীব্রতা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের নিশ্বাস থামিয়ে দিয়েছিল। তৃতীয় বলেই তিনি কনওয়েককে ফিরিয়ে দেন, যা ম্যাচের শুরুতেই মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করে। সকালভাগে হালকা বৃষ্টি এবং দমবন্ধ করা বোলিং কিউইদের জন্য পুরো সময় রক্ষণাত্মক অবস্থায় খেলতে বাধ্য করে।
লাঞ্চের পর আসে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটিং। প্রতিটি শটের সঙ্গে ছিল সতর্কতা এবং অভিজ্ঞতার ছাপ। তবে ক্রিস গ্রিভসের নিখুঁত লাইন–লেংথের সামনে উইলিয়ামসনও টিকতে পারেননি। তার ঠিক পরেই লাথামও আউট হন, এবং নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১৪৮/৬-এ পড়ে। মনে হচ্ছিল, যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো কিউই ব্যাটিং ভেঙে পড়ছে।
দৈনিক পরিস্থিতি বদল আসে ব্রেসওয়েল ও নাথান স্মিথের জুটি দিয়ে। ব্রেসওয়েল ছিলেন আক্রমণাত্মক, স্মিথ ছিলেন রক্ষণাত্মক, কিন্তু দু’জনের সমন্বয় নিউজিল্যান্ডকে দিনের শেষে সমতায় নিয়ে আসে। এই জুটি শুধু রান যোগ করেনি, বরং মানসিক স্থিতি বজায় রাখতেও সাহায্য করেছে। দুইজন মিলে পিচের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন, যা দ্বিতীয় দিনে দলের জন্য আত্মবিশ্বাসের বড় উৎস হবে।
