আইএল টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স

আইএল টি-টোয়েন্টিতে এবারই প্রথমবার খেলছেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানএমআই এমিরেটসের হয়ে প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট ও বোলিং দু’টো ক্ষেত্রেই সাকিবের পারফরম্যান্স ছিল তেমন সন্তোষজনক নয়। ব্যাট হাতে এক ম্যাচে ১২ বলে ১৬ রান করার পর তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়। পাশাপাশি প্রথম দুই ম্যাচে ২ ওভার করে বোলিং করে যথাক্রমে ২৭ ও ২০ রান দিয়েছেন তিনি।

তৃতীয় ম্যাচে নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পান সাকিব। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ডেজার্ড ভাইপার্সের বিপক্ষে তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ২৪ বলের ব্যাটিংয়ে তাঁর কোনও চার বা ছক্কা ছিল না; ২৪ বলের অর্ধেকই ছিল ডট বল।

সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাকিব। ওভারের শেষ বলেই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে স্টাম্পড করে আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেট নেন। ওই ওভারে ৫ রান দেওয়া সাকিব পরবর্তী ওভারে দ্বিতীয় উইকেটও শিকার করেন।

ইনিংসের নবম ওভারে ইংলিশ অলরাউন্ডার স্যাম কারেনকে ধাওয়া করে ক্যাচ তুলে নেন সাকিব। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান দেন। ১১তম ওভারে আবার ৩ রান এবং ১৫তম ওভারে নিজের শেষ ওভারে ৩ রান দিয়ে বোলিং কার্যক্রমকে অত্যন্ত কার্যকরভাবে সম্পন্ন করেন।

সাকিবের এই ধারাবাহিক এবং কৌশলী বোলিংয়ে ডেজার্ড ভাইপার্স ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করতে সক্ষম হয়। এমআই এমিরেটস রান তাড়ায় ৬ উইকেট হারালেও মাত্র ১৫ বল হাতে লক্ষ্য পূরণ করে। দলের ৪ উইকেটের জয়ে সাকিব ব্যাট হাতে অপরাজিত ১৭ রান করে জয় নিশ্চিত করেন।

সাকিবের ম্যাচ পারফরম্যান্স নিচের টেবিলে সংক্ষেপে দেওয়া হলো:

পারফরম্যান্সওভার/বলরানউইকেটডট বলবিশেষত্ব
বোলিং১৪১২কোন চার-ছক্কা হয়নি
ব্যাটিং২৪ বল১৭*অপরাজিত, দলের জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

এদিন সাকিবের বোলিং ছিল নিখুঁত পরিকল্পিত, ধারাবাহিকতা ও কৌশলের মিশ্রণ। তাঁর কিপটে বোলিংয়ে ম্যাচের দিক পাল্টে যায়। ব্যাটিংয়ে সংযমী খেলা দলকে আত্মবিশ্বাসী জয়ে পৌঁছে দেয়। তাঁর এই অবদান শুধু ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব ফেলেনি, বরং পুরো দলকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করেছে।

এই ম্যাচে সাকিব প্রমাণ করলেন যে, তিনি কেবল একজন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারই নন, দলের জন্য ম্যাচের মোড় ঘুরানোর ক্ষমতা সম্পন্ন খেলোয়াড়। প্রথম দুই ম্যাচের চাপ সামলে তৃতীয় ম্যাচে নিজের খোঁজ পাওয়ার এই পারফরম্যান্স তাঁকে আইএল টি-টোয়েন্টির মঞ্চে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।