আবুল ইসলাম বাংলাদেশের যশোর জেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি একজন সাংসদ ছিলেন। তিনি সাবাস চেয়ারম্যান নামে পরিচিত ছিলেন।
Table of Contents
আবুল ইসলাম | বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

জীবনী
আবুল-ইসলাম ১৯২৪ সালে যশোরের ঝিকরগাছার হাজিরবাগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯৫৮ সালে তৎকালীন বল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
১৯৬৪ সালে আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্র প্রবর্তন করলে আবুল-ইসলাম রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের কার্যালয়ে মৌলিক গণতন্ত্রের সমালোচনা করে চিঠি পাঠান। তিনি ছিলেন একমাত্র চেয়ারম্যান যিনি সরাসরি পদ্ধতিটির সমালোচনা করেছিলেন। এরপর, দৈনিক ইত্তেফাক তাকে নিয়ে সাবাস চেয়ারম্যান শিরোনামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। পরবর্তীতে, তিনি শেখ মুজিবুর রহমান তাকে “সাবাস চেয়ারম্যান” উপাধি প্রদান করেছিলেন।
আবুল-ইসলাম ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর তিনি বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হন। পরবর্তীতে, ১৯৭৩ সালে তিনি যশোর-৬ আসনের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আবুল-ইসলাম ২০০৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

সংসদ সদস্য:
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।
পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

অবস্থান
সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।
সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।
আরও দেখুনঃ