আমিরের অভিজ্ঞতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন বুনছে সিলেট টাইটানস

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরকে সামনে রেখে মাঠের প্রস্তুতিতে এক ধাপ এগিয়ে গেল সিলেট টাইটানস। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বাঁহাতি পেস সেনসেশন মোহাম্মদ আমির গতকাল রাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। বিশ্রামের সুযোগ না নিয়েই আজ সকালে সিলেটের সতীর্থদের সাথে মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন এই পাকিস্তানি তারকা। আমিরের মতো বিশ্বমানের একজন বোলারকে ড্রেসিংরুমে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সিলেটের দেশি পেসাররা, বিশেষ করে ইবাদত হোসেনের কণ্ঠে ঝরেছে পরম নির্ভরতার সুর।

সারা বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে আমিরের বিচরণ ঈর্ষণীয়। বল হাতে তাঁর সুইং এবং ডেথ ওভারের চতুরতা সিলেটকে শিরোপার পথে অনেকটা এগিয়ে দেবে বলে বিশ্বাস দলটির ম্যানেজমেন্টের। আজ অনুশীলন শেষে ইবাদত হোসেন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আমিরের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দলের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, আমির শুধু একজন বোলার হিসেবে নন, বরং একজন মেন্টর হিসেবেও দলের পেস ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

নিচে মোহাম্মদ আমিরের পরিসংখ্যান এবং সিলেট টাইটানসের পেস বোলিং শক্তি একনজরে দেখে নেওয়া যাক:

আমিরের ক্যারিয়ার প্রোফাইল ও সিলেটের বোলিং সামর্থ্য

বিষয়বিবরণ / পরিসংখ্যান
মোহাম্মদ আমিরের অভিজ্ঞতা৩৪৮টির বেশি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
বোলিং দক্ষতাইন-সুইং এবং ডেথ ওভারে নিখুঁত ইয়র্কার।
সিলেটের দেশি পেসারইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম।
তরুণ প্রতিভারেজাউর রহমান রাজা।
সিলেটের স্লোগান‘এবার কিন্তু অইজিবো’ (এবার শিরোপা হবেই)।
বিপিএল অর্জনএখন পর্যন্ত কোনো শিরোপা জিততে পারেনি সিলেট।

ইবাদত হোসেনের মতে, আমিরের আগমনে সিলেটের বোলিং বিভাগ এখন আসরের অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ ইউনিটে পরিণত হয়েছে। ইবাদত বলেন, “আমির ভাই আসায় আমাদের আক্রমণভাগ অনেক শক্তিশালী হয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি, টি-টোয়েন্টিতে ৪৫০-এর কাছাকাছি উইকেট রয়েছে তাঁর। আমরা চাই তিনি সেই অভিজ্ঞতা আমাদের দলের জয়ের জন্য ব্যবহার করুন। তিনি মাঠে থাকলে তরুণ পেসারদের জন্য কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়।”

সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য বিপিএলের প্রতিটি আসরই ছিল হতাশার। ফাইনাল পর্যন্ত গেলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি তাঁদের। তবে এবার স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষায় ‘এবার কিন্তু অইজিবো’ থিম নিয়ে একাত্ম হয়েছে পুরো দল। ইবাদত এই থিম সম্পর্কে বলেন, “এই কথাটি আমাদের দলের মধ্যে এক ধরনের ইতিবাচক আবহ বা ‘পজিটিভ ভাইব’ তৈরি করেছে। এটা শোনার পর মনে হয় এবার সত্যিই কিছু একটা হবে। আল্লাহ যদি চান, তবে এবার আমরা চ্যাম্পিয়ন হবই।”

আমিরকে নিয়ে সিলেটের এই নতুন যাত্রা মাঠের ক্রিকেটে কতটা সফল হবে, তা সময় বলে দেবে। তবে ইবাদত, খালেদ ও আমিরের মতো পেসারদের নিয়ে গঠিত সিলেটের বোলিং আক্রমণ যে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য বড় ভয়ের কারণ হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।