বিএনপির কর্মশালায় নতুন চমক, প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন

বিগত তিন দিন ধরে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিশেষ কর্মশালা আয়োজন করেছে। এই কর্মশালায় সব ঘোষিত প্রার্থীদের ডাকা হয়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের অন্তর্ভুক্তি ও বাদ দেওয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কিছু আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করা হতে পারে। উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো ঝালকাঠি-২ আসন, যেখানে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টু ডাকা হয়নি। একইভাবে চট্টগ্রাম-৪ আসনে ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে আসলাম চৌধুরীকে ডাক দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম-৬ ও যশোর-৬ আসনের প্রার্থীদেরও ডাক দেওয়া হয়নি।

দ্রষ্টব্য, ২৮টি ফাঁকা আসনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর-১ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নতুন প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম ও আশরাফ উদ্দিন নিজানকে ডাকা হয়েছে। বাকি আসনগুলো দলের মিত্র ও অন্যান্য দলের জন্য রাখা হয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।

বাগেরহাট জেলার চারটি আসনেও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। বাগেরহাট-১ আসনে কপিল কৃষ্ণ মন্ডল, বাগেরহাট-২ এ ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, বাগেরহাট-৩ এ ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম এবং বাগেরহাট-৪ এ সোমনাথ দে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকবেন।

বিএনপি সূত্র জানায়, যাদের ডাকা হয়নি, তা সরাসরি হাইকমান্ডের নির্দেশে। যাদের ডাকা হয়েছে, তাদের প্রার্থিতা নিশ্চিত। মিত্রদের আসন ছাড় দেওয়া বিষয়টিও চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরের প্রথম দফায় মোট ২৭২টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিএনপি।

লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনও শেষ পর্যন্ত ধানের শীষের প্রার্থী পেয়েছে। কর্মশালার মাধ্যমে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা, ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনা এবং ডিজিটাল প্রচারণা সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে প্রার্থীরা কেন্দ্রভিত্তিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ভোটারদের কাছে পৌঁছাবে।