গতকাল সোমবার হাইকোর্ট সেই রিট আবেদন খারিজ করেছে, যা সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিল। এই সিদ্ধান্তে পাঁচটি আর্থিকভাবে সমস্যায় থাকা প্রাইভেট ইসলামী ব্যাংক একত্রিত করে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা ছিল।
বেঞ্চের বিচারকরা ফাহমিদা কাদের ও মোহাম্মদ আশিফ হাসান এই আদেশ দেন। রিটের পক্ষে আবেদনের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাইদ মাহসিব হোসাইন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুনানি সংক্ষেপে শেষ হয়।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে রিটের বিরোধিতা করেন।
রিটটি ১৮ নভেম্বর সাধারণ বিনিয়োগকারী শাহিদুল ইসলাম দাখিল করেছিলেন। এতে বাংলাদেশের ব্যাংক গভর্নর, অর্থ সচিব ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিবাদী করা হয়। আবেদনকারী দাবী করেছিলেন, সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার রক্ষা ও মিশ্রণের পর সমন্বিত ইসলামী ব্যাংকে সমানুপাতে শেয়ার বরাদ্দ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হোক।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, ব্যাংক রেজোলিউশন অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী এই মিশ্রণ সম্পন্ন হয়েছে এবং এতে শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষতিপূরণের কোনো বিধান নেই। সেজন্য রিটের কোন বৈধতা নেই।
রিটে আরও বলা হয়েছিল, মিশ্রিত ব্যাংকটি গঠন করা হচ্ছে শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার রক্ষা ছাড়াই। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রস্তুত না থাকা সত্ত্বেও এই মিশ্রণ সম্পন্ন করেছে।
১ ডিসেম্বর সামিলিত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন প্রাক্তন সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আয়ুব মিয়া। ৯ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন করার পর বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছিল।
এজে