বীমা খাত দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতারণার কারণে কোম্পানি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে, প্রকৃত গ্রাহক প্রক্রিয়াগত জটিলতায় ভুগে, এবং পুরো শিল্পে অবিশ্বাসের ছায়া পড়ে। ডিজিটাল যুগে প্রতারণার কৌশল যেমন জটিল হচ্ছে, তেমনি প্রতিরোধের প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও নতুন উন্নয়ন ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর প্রযুক্তি হলো ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (এনএলপি)।
বিশেষ করে জীবন বীমা খাত প্রতারণার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ভুয়া দুর্ঘটনার বিবরণ, মিথ্যা চিকিৎসা নথি বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মৃত্যুর নাটক এমনভাবে সাজানো হয় যে প্রথাগত তদন্ত সহজে সনাক্ত করতে পারে না। মানব বিশ্লেষক অনেক সময় অজান্তেই অনুমোদন দিয়ে দিতে পারেন। তাই প্রযুক্তির ব্যবহার এখন অপরিহার্য।
এনএলপি বিশ্লেষণের গতি ও গভীরতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি বীমা দাবি, গ্রাহক যোগাযোগ, নীতিমালা ও নথিভুক্ত তথ্যকে কেবল লেখা হিসেবে নয়, ডেটাসেট হিসেবে বিশ্লেষণ করে। এনএলপি তারিখ, স্থান, ব্যক্তি, আর্থিক তথ্য এবং পরিস্থিতির বিবরণ আলাদা করে সম্পর্ক খুঁজে বের করে। ভাষার অস্বাভাবিকতা, ঘটনার বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতি এবং সূক্ষ্ম অসামঞ্জস্য দ্রুত শনাক্ত হয়।
উদাহরণস্বরূপ, কোনো দাবি যদি আবহাওয়া, স্থান, সময় বা ঘটনার বর্ণনায় অস্বাভাবিকতা থাকে, এনএলপি তা সনাক্ত করতে পারে। একই সঙ্গে ঐ এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি, স্থানীয় ঘটনা এবং ভাষার ভঙ্গি বিশ্লেষণ করে সন্দেহ চিহ্নিত করে।
এনএলপি শুধুমাত্র প্রতারণা শনাক্ত করে না, প্রকৃত দাবিকেও দ্রুত অনুমোদন নিশ্চিত করে। সঠিকভাবে অ্যানোটেট করা প্রশিক্ষণ ডেটা মডেলকে শক্তিশালী করে, যাতে নতুন প্রতারণার কৌশলও চিহ্নিত করা যায়। এটি শিল্পকে নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং গ্রাহককেন্দ্রিক করে তোলে।
এজে
