সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাংকের বাইরে রাখা নগদ অর্থ বড় পরিমাণে ফেরত ব্যাংক ভল্টে জমা হচ্ছে, যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য কিছুটা আর্থিক শিথিলতা সৃষ্টি করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক সেক্টরে ফিরে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা এবং অর্থবাজার বিশ্লেষকরা বলেন, কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের একীভূতকরণ সংক্রান্ত গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশের পর গ্রাহকদের মধ্যে আস্থা কমে যাওয়ায় তারা ব্যাপকভাবে আমানত তুলে নিয়েছিলেন। ২০২৫ সালের জুনে ব্যাংকের বাইরে রাখা নগদ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল।
তবে বর্তমানে তুলনামূলকভাবে উচ্চ সুদের হার এবং বিনিয়োগের নিম্নমুখী পরিবেশের কারণে গ্রাহকরা আবার তাদের টাকা ব্যাংকে ফেরত দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, জুনে ব্যাংকের বাইরে নগদের পরিমাণ ছিল ২.৯৬ লাখ কোটি টাকা, যা অক্টোবরের শেষে কমে ২.৭০ লাখ কোটি টাকায় এসেছে।
একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, কিছু ব্যাংকের দুর্বল আর্থিক অবস্থার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে আমানত তুলে নিয়েছিলেন। তবে ব্যাংকগুলোর পুনঃস্থাপন কার্যক্রম এবং ১০ শতাংশ নীতিমূলক হার বজায় রাখার কারণে গ্রাহকরা আবার ব্যাংকে টাকা জমা দিতে শুরু করেছেন।
জুনে আমানতের বৃদ্ধি ছিল ৭.৭৭ শতাংশ, যা অক্টোবরের শেষে বেড়ে ৯.৬২ শতাংশে পৌঁছেছে। পুবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, বর্তমান নীতিমূলক অবস্থার কারণে ব্যাংকের সুদের হার এখনও আকর্ষণীয়।
এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. শামসুল আরেফিন বলেন, কিছু ব্যাংকের দুর্বল ভিত্তি সংক্রান্ত সংবাদ গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু এখন তারা ভালো এবং শারিয়াহ-সম্মত ব্যাংক চিহ্নিত করে আবার তাদের আমানত ব্যাংকে ফিরিয়েছে।
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| চার মাসে আমানত ফেরত | ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা |
| ব্যাংকের বাইরে নগদ | জুন ২.৯৬ লাখ কোটি, অক্টোবর ২.৭০ লাখ কোটি টাকা |
| আমানতের বৃদ্ধি | জুন ৭.৭৭%, অক্টোবর ৯.৬২% |
| প্রধান কারণ | উচ্চ সুদের হার, নীতি স্থিতিশীলতা, আস্থা পুনঃস্থাপন |
| প্রভাব | ব্যাংকের বাইরে নগদ কমেছে, আমানত বৃদ্ধি পেয়েছে |
এজে
