২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপ সামনে রেখে জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার মাটিতে নামছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে নিজেদের শক্তি ধরে রাখতে এবং আসন্ন ২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে নতুন বছরের শুরুতেই ব্যস্ত সূচিতে নামছে পাকিস্তান। জানুয়ারির ৭, ৯ এবং ১১ তারিখে তারা শ্রীলঙ্কার দাম্বুলায় তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে, যেখানে নেতৃত্ব দেবেন সালমান আগা।

দাম্বুলার রঙ্গিরি স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করে সব ম্যাচ আয়োজন করা হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, বিশ্বকাপের আগে দলকে একই ধরনের পরিবেশে খেলানোর জন্য শ্রীলঙ্কার মতো ভেন্যু নির্বাচন করা হয়েছে। কারণ পাকিস্তান তাদের বিশ্বকাপের সব ম্যাচ খেলবে কলম্বোতে।

গত ছয় মাসে পাকিস্তান যে পরিমাণ টি২০ ক্রিকেট খেলেছে, তা অনেক দলের কাছেই ব্যতিক্রম। ব্যস্ত এই সূচির উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বকাপে সেরা প্রস্তুতি নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে সিরিজ হারার পর পাকিস্তান শক্তিশালীভাবে ফিরেছে—দুইটি ত্রিদেশীয় সিরিজে অংশগ্রহণ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর, এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা, এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাফল্য। এই ধারাবাহিক ম্যাচ খেলার ফলে দলটির টি২০ কম্বিনেশন আরও স্থিতিশীল হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক লড়াইও উল্লেখযোগ্য। শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরেছে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে। ফলে সিরিজটিতে দুই দলই পরস্পরের শক্তি, দুর্বলতা এবং কৌশল সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখে।

এই সংক্ষিপ্ত সফরের পর পাকিস্তান দেশে ফিরে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরেকটি টি২০ সিরিজ খেলবে। এরপরই তাদের অপেক্ষা বিশ্বকাপ মিশন, যেটি শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কায়।

২০২৬ টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস এবং নামিবিয়া। সর্বোচ্চ চাপের ম্যাচটি হবে ভারতের বিপক্ষে, এবং এই ম্যাচকে সামনে রেখেই পাকিস্তান দল বিভিন্ন কম্বিনেশন পরীক্ষা করছে।

পিসিবি জানিয়েছে, “আজকের টি২০ ক্রিকেটে প্রস্তুতি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীলঙ্কা সফর আমাদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দেবে এবং সেরা একাদশ বাছাইয়ে সাহায্য করবে।”

শ্রীলঙ্কা সিরিজ তাই পাকিস্তানের জন্য বিশ্বকাপের আগে মানসিক, টেকনিক্যাল এবং কৌশলগত প্রস্তুতির এক বাস্তব পরীক্ষা।