২০ হাজার কোটি টাকার স্থানান্তর: গ্রাহক ৭-১৫ দিনের অপেক্ষা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক বা আমানতকারীরা তাঁদের টাকা ফেরত পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কারিগরি কাজ চলমান আছে, তাই ৭, ১০ বা সর্বোচ্চ ১৫ দিনের মধ্যে টাকা তাদের হিসাবেই যাবে।

আজ বুধবার দুপুরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গভর্নর এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে নতুন পরিচালকেরা অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলাদা বৈঠকে বসেন। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “এ ব্যাংকের হিসাব খোলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০ হাজার কোটি টাকা আছে। আমরা চাই ঝামেলা ছাড়াই যার যার হিসাব অনুযায়ী টাকা চলে যাক। কেউ পাবেন, কেউ পাবেন না—এ রকম ঝামেলা আমরা চাই না।”

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আইয়ুব মিয়া জানান, নতুন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের জন্য কিছু আবেদন জমা পড়েছে, তবে আবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় বাকি আছে। তিনি বলেন, “এটি একটি কঠিন কাজ, তাই আমরা ধাপে ধাপে এগোচ্ছি।”

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৈঠকে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম, অগ্রগতি, আর্থিক অবস্থা, পরিচালন কাঠামো, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহকসেবা উন্নয়ন বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা ব্যাংকের সুশাসন জোরদার, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং ইসলামী ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনার পরামর্শ দেন। জাতীয় স্বার্থে ব্যাংকটির কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকারও করেন তারা।

পর্ষদ সভার নোটিশে ১৭টি আলোচ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে ছিল: পরিচালকদের সম্মানী নির্ধারণ, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা, সিলমোহর, লোগো, স্লোগান, প্যাড, ব্যানার ও সাইনবোর্ড সংক্রান্ত বিষয়। জানা গেছে, অন্যান্য ব্যাংকের মতো এ ব্যাংকের আর্থিক বছর হবে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর। উদ্বোধনের তারিখ, সিলমোহর ও লোগো নির্ধারণ করা হবে পরবর্তী বৈঠকের মাধ্যমে।

সংক্ষিপ্ত তথ্য ও সময়সীমা (টেবিল আকারে)

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিশ্চিত করেছেন যে, কারিগরি ও প্রশাসনিক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে গ্রাহকের টাকা ঝামেলা ছাড়াই তাদের ব্যাংক হিসাবেই স্থানান্তরিত হবে।