১৫ বছরের তুলনায় মাত্র ছয় মাসে বেশি দুর্নীতির বিস্ফোরণ

বিসিবিতে দুর্নীতির ছায়া ছাপিয়েছে সাম্প্রতিক সময়

ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দিপন শুক্রবার এক বিস্ময়কর তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) গত ছয় মাসে যে আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, তা সাবেক বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের দেড় যুগের কর্মকাণ্ডকেও ছাপিয়ে গেছে।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) যমুনা টেলিভিশনের সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘স্যাটারডে নাইট স্পোর্টস’-এ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিপন। অনুষ্ঠানকালে তিনি বলেন, “একজন বার্ড পরিচালক হিসেবে শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পাপনের ১৫ বছরের সমনেও এই মাত্রার অনিয়ম ঘটেনি। বোর্ডে না থাকলে এবং নিজে এই কর্মকাণ্ডের চাক্ষুষ সাক্ষী না হলে এ সত্য অবিশ্বাস্য মনে হতো।”

দিপনের দাবি, এসব অনিয়মের প্রমাণ হিসাব, কাগজপত্র ও সার্বিক ডকুমেন্টে স্পষ্টভাবে রয়েছে। তিনি আরও জানান, বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডিরেক্টরদের পাশাপাশি আইটি সেকশন এবং লিগ্যাল ডিপার্টমেন্ট মিলিতভাবে এই দুর্নীতির তদন্তে সম্পৃক্ত থাকবে। “সঠিকভাবে তদন্ত করলে প্রকৃত দোষীদের বের করা সম্ভব হবে,” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এছাড়াও অনুষ্ঠানকালে ঘরোয়া ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও কথা বলেন দিপন। তিনি জানান, ক্রিকেটারদের ম্যাচ সংখ্যা, পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে তারা আন্তরিক। “যদি সুযোগ মেলে, তবে আমরা অবশ্যই সার্বিক সমস্যার সমাধান ও উন্নয়নে কাজ করব,” যোগ করেন তিনি।

দিপনের এই মন্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে দেশের ক্রিকেট মহলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু আর্থিক অনিয়ম উদঘাটনের বিষয় নয়, বরং আগামী দিনের বোর্ড প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতার জন্যও এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। সাধারণ ক্রিকেটভক্তরা আশা করছেন, বোর্ডের এই নতুন পদক্ষেপ ভবিষ্যতে খেলাধুলার পরিবেশকে আরও স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করবে।

ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সম্প্রতি প্রকাশিত এই তথ্য প্রমাণ করে যে, স্বচ্ছতা ও নিয়মবদ্ধ প্রশাসন ছাড়া খেলাধুলার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বোর্ডের তদন্ত কার্যক্রমকে সমর্থন করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো অনিয়মের ছায়া বিসিবির উপর পড়তে না পারে।