ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সোমবার দখলদার ইসরায়েলের হাতে একটি কফিন হস্তান্তর করেছে, যাতে ছিল এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহের অবশিষ্ট অংশ। ওই জিম্মির মরদেহের কিছু অংশ ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা থেকে উদ্ধার করেছিল ইসরায়েলি সেনারা।
নতুন কোনো জিম্মির মরদেহ না দিয়ে পুরোনো এক জিম্মির দেহাংশ ফেরত দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের অভিযোগ, হামাস এভাবে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জরুরি বৈঠক ডাকেন। টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, বৈঠকে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা দাবি করেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকেই হামাস নিয়ম ভঙ্গ করে আসছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ইসরায়েল গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছিল। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী মিসর-গাজা সীমান্তের রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও কার্যকর হয়নি।
গতকাল ফেরত দেওয়া কফিনে যার দেহাংশ ছিল, তার নাম অফির তাজাফাতি বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা তাকে অপহরণ করেছিল। এক মাস পর ইসরায়েলি সেনারা তার মরদেহের কিছু অংশ উদ্ধার করে পরিবারকে হস্তান্তর করে, যা পরবর্তীতে দাফন করা হয়। নতুন করে মরদেহের বাকি অংশ ফেরত পাওয়ার ঘটনাটি ইসরায়েলজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
