হলি আর্টিজানে হামলার মামলায় ডেথ রেফারেন্স-আপিল শুনানি শেষ : ৩০ অক্টোবর রায়

হলি আর্টিজানে হামলার মামলায় ডেথ রেফারেন্স-আপিল শুনানি শেষ : ৩০ অক্টোবর রায়। রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলায় সাতজনের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদন) এবং আসামিদের আনা আপিল শুনানি’ শেষে আগামী ৩০ অক্টোবর রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন। গত ১১ অক্টোবর হলি আর্টিজান মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার দিন ধার্যের আদেশটি এ আদালতের ১১ অক্টোবরের কার্যতালিকায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটৈও প্রকাশ করা হয়েছে।

হলি আর্টিজানে হামলার মামলায় ডেথ রেফারেন্স-আপিল শুনানি শেষ : ৩০ অক্টোবর রায়

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (আত্মঘাতী) সদস্যরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি।

এ ঘটনায় করা মামলায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান একজনকে খালাস দিয়ে সাতজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।

দেশের ইতিহাসে চাঞ্চল্যকর ও নৃশংস এ হামলায় ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক ও দু’জন বাংলাদেশিসহ মোট ২০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ হারান বনানী থানার তখনকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম।

হামলার পর জিম্মি অবস্থার অবসানে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। তারা হলো- মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় নিহত হয়েছেন নব্য জেএমবির আরও ৮ সদস্য। মৃত্যুর কারণে অভিযোগ থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Leave a Comment