মোঃ সোহরাব উদ্দিন একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা। তিনি ছিলেন দশম জাতীয় সংসদের সদস্য, যিনি কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
Table of Contents
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
মোঃ সোহরাব উদ্দিন জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৬ সালের ১ জুন, কিশোরগঞ্জ জেলার এক ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পরিবারে। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষালাভ করেন নিজ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে। পরবর্তীতে তিনি বি.কম (পাস) ডিগ্রি অর্জনের পর আইন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন, যা তাকে জনসেবা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে যুক্তিযুক্ত ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন করে তোলে।
রাজনৈতিক জীবন ও সংসদীয় ভূমিকা
সোহরাব উদ্দিনের রাজনীতিতে পথচলা শুরু হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে দীক্ষিত হয়ে।
দীর্ঘদিন তিনি দলের বিভিন্ন সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং স্থানীয় রাজনীতিতে একজন পরিচিত ও প্রভাবশালী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
▸ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, মোঃ সোহরাব উদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এই আসনটি কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত এবং তিনি এ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সক্রিয় অবদান রেখেছেন।
▸ দ্বিতীয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য
লেখায় উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, যদিও পরবর্তী নির্বাচনের সাল এখানে স্পষ্টভাবে উল্লিখিত নয়।
তবে এ থেকে বোঝা যায়, তাঁর জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক দক্ষতায় জনগণের আস্থা অটুট ছিল।
▸ সংসদে দায়িত্ব
তিনি সংসদে ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।
ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য হিসেবে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে আইন প্রণয়ন, বাজেট পাস এবং রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
সামাজিক ও স্থানীয় অবদান
মোঃ সোহরাব উদ্দিন শুধু জাতীয় রাজনীতির একজন কর্মী নন, বরং কিশোরগঞ্জ-২ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং কৃষিনির্ভর অর্থনীতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
তিনি জনসংযোগে দক্ষ, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রেখেছেন।

মোঃ সোহরাব উদ্দিন একাধারে একজন জননেতা, আইনজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা, সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বশীলতা এবং নিজ এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি কিশোরগঞ্জবাসীর নিকট একজন শ্রদ্ধেয় ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর রাজনীতি ছিল সেবামূলক নেতৃত্ব, দলের প্রতি নিষ্ঠা, এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার মিশেল।