সৈয়দা রাজীয়া ফয়েজ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

সৈয়দা রাজীয়া ফয়েজ বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি পাকিস্তানের শাসনামলে খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য হন তিনি। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উপসভাপতি ছিলেন তিনি।

সৈয়দা রাজীয়া ফয়েজ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

সৈয়দা রাজীয়া ফয়েজ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জীবনী

সৈয়দা রাজিয়া ফয়েজ ১৯৩৬ সালের ১৮ই এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা সৈয়দ বদরুদ্দোজা কলকাতা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন।[৪] ১৯৬১ সালে তিনি খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন তিনি জাতিসংঘে পাকিস্তানের প্রতিনিধি ছিলেন। ফলে স্বাধীনতা পর বাংলাদেশে তাকে গৃহবন্দী করা হয়। আবদুস সবুর খানের নির্বাচন অঞ্চল থেকে নির্বাচনে দাঁড়ান এবং জয়লাভ করেন। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্য। ১৯৮৯ সালে তিনি নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উপসভাপতি ছিলেন তিনি।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

ব্যক্তিজীবন ও মৃত্যু

পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান আবুল ফয়েজের সাথে তার বিয়ে হয়। এ দম্পতির ফৌজিয়া আলম নামের এক কন্যা এবং ওমর এরশাদ ফয়েজ ও আমান আশরাফ ফয়েজ নামের দুই পুত্র ছিল। তাজরিয়ান, মার্জিয়ান, ফারশেদ, ফয়জানা এবং আইজা নামে তাদের মোট ৫ জন নাতি-নাতনি ছিল। ২০১৩ সালের ১৫ই নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

 

সৈয়দা রাজীয়া ফয়েজ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন।

 

সৈয়দা রাজীয়া ফয়েজ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল।

২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment