আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ একটি সংবেদনশীল ও নজরকাড়া মামলা শুনানির জন্য নির্ধারিত হয়েছে। এতে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে জুলাই–আগস্টের গণজাগরণ আন্দোলনের সময়কার ঘটনা নিয়ে পাঁচটি গুরুতর অভিযোগের মোকাবিলা করতে হবে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা কারফিউ জারি করে আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংসতা চালাতে পরিকল্পনা করেছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের আদালতে অভিযোগগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরবেন প্রসিকিউশন পক্ষ। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠকে হত্যার উসকানির চেষ্টাসহ ২৮৬টি মামলায় প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে আসামি করা। আদালত এই প্রমাণাদির ভিত্তিতে মামলাটি যাচাই করবেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের পক্ষ থেকে ডিফেন্স উপস্থাপন করবেন। এর আগে তারা বিদেশি আইনজীবী নিয়োগের আবেদন করেছিলেন, যা ট্রাইব্যুনালে আজ বিচারক দ্বারা চূড়ান্ত করা হতে পারে।
আজকের শুনানিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার মামলা এবং পলাতক সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্টেট ডিফেন্স নিয়োগের বিষয়ও আলোচিত হবে। ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে এবং তার অবস্থান জানাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে।
তবে শুধু সালমান-আনিসুলের মামলাই নয়, রামপুরা, আবু সাঈদ হত্যা মামলা ও হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের কাজও আজ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সম্পন্ন হতে পারে। আদালতের এই কার্যক্রম দেশের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার প্রমাণ দেয়।
এবারের শুনানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে কারণ এটি শুধু ব্যক্তিগত দায় প্রমাণের নয়, বরং দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জনগণের অধিকারের প্রতি আদালতের অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।