ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সোমবার মন্তব্য করেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে প্রতিষ্ঠান আক্রমণ করছে, যা তিনি গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং সাধারণ মানুষের ন্যায্য ভোটাধিকার হরণ করার চেষ্টা করছে।
রিজভীর এই মন্তব্য তিনি করেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে ঢাকায়, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে। তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে হামলা, যা নাগরিক জীবনের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঙ্কটে ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, “মানুষ গত ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি। জনগণ মুখিয়ে আছে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। সেই সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একটি সুসংগঠিত চক্র কাজ করছে। আমরা সকলকে আহ্বান জানাই, এই সুযোগ জনগণকে না দিতে।” রিজভী আক্ষেপ করেন যে, যদি এই ধরনের আক্রমণ ও হিংসার ধারা চলতে থাকে, তাহলে দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না।
এছাড়া, তিনি দেশবাসীর মধ্যে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও ইনক্লুসিভ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। রিজভী বলেন, “জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে উদগ্রীব। এটি নিশ্চিত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। রাজনৈতিক হিংসা ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণের মাধ্যমে কোনোভাবেই জনগণের অধিকার হরণ করা যাবে না।”
রিজভীর বক্তব্যে উঠে আসে বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ। তিনি মনে করেন, এই ধরনের ঘটনা শুধু রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে না, বরং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে।
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| মন্তব্যকারী | রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব |
| সময় ও স্থান | ২২ ডিসেম্বর, জিয়াউর রহমান সমাধি, ঢাকা |
| ঘটনাবলি | উচ্ছৃঙ্খল জনতা মব তৈরি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা |
| মূল বক্তব্য | গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, জনগণের ভোটাধিকারের সুযোগ হরণ |
| দাবী | ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও ইনক্লুসিভ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা |
| লক্ষ্য | দেশের গণতন্ত্রের সুরক্ষা ও নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা |
রিজভীর এই আহ্বান রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ না করা হলে জনগণের ওপর রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি পাবে এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ হুমকির মুখে পড়বে।
