সাদির উদ্দিন আহমেদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

সাদির উদ্দিন আহমেদ (আনু. ১৯৩১–২৭ আগস্ট ২০১৮) বাংলাদেশের নেত্রকোণা জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ও তৎকালীন ময়মনসিংহ-২১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

সাদির উদ্দিন আহমেদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

সাদির উদ্দিন আহমেদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

সাদির উদ্দিন আহমেদ আনু. ১৯৩১ সালে নেত্রকোণার পূর্বধলার ভুগী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে বিকম ও ১৯৫৭ সালে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন

সাদির উদ্দিন আহমেদ আইনজীবী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

১৯৭০ সালের তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক নির্বাচনে পূর্বধলা, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ-১২ আসনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমএনএ) নির্বাচিত হন।

১৯৭২ সালে সংবিধান কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশকৃত সংবিধানে শেষ স্বাক্ষরটি তিনিই করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ময়মনসিংহ-২১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জেলা বারের সভাপতি ছিলেন।

 

সাদির উদ্দিন আহমেদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

মৃত্যু

সাদির উদ্দিন আহমেদ ২৭ আগস্ট ২০১৮ সালে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সাতপাই গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়।

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

সাদির উদ্দিন আহমেদ । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন।

কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment