সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (জন্ম: ৩ নভেম্বর ১৯৬২) একজন বাংলাদেশী নারী রাজনীতবিদ, নারীবাদী ও সংসদ সদস্য। তিনি মুন্সীগঞ্জ-২ থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

প্রাথমিক জীবন

সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ১৯৬২ সালের ৩ নভেম্বর মুন্সগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।

জীবনী

সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি আওয়ামী লীগের ডাকা সরকার বিরোধী হরতালে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে আগস্ট গ্রেপ্তার হন। ১৫ই আগস্ট ২০০৪ এ ঢাকা গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়েছিল।

গ্রেফতারের সময় অন্যান্য নারী নেত্রীদের সাথে তাকেও পুলিশের গাড়িতে টেনে হিঁচড়ে ওঠানো হয়, সেসময় কারো কারো কাপড় ছিঁড়ে যায়। এমিলি প্রথম ১৯৯৬ সালে সংসদের সংরক্ষীত মহিলা আসনের সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ-২ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ২৪ জানুয়ারি ২০০৯ সালে তাকে সংসদের হুইপ হিসেবে নিয়োগ দেন।

এমিলি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় জয়ী হয়। ৮ মার্চ ২০১০ এ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ধর্ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসবাদকে বাংলাদেশের নারীদের এগিয়ে যাওয়ার পথের অন্তরায় হিসেবে বর্ণনা করেন।

১০ জানুয়ারি ২০১৬ সালে বিএসআরএম এবং ডেইলি স্টার আয়োজিত “পদ্মা সেতু— উন্নয়নের নতুন মহাসড়ক” উপস্থাপনায় তিনি তার এলাকায় নদীভাঙনের কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা তুলে ধরেন যে কারণে সরকারকে খরচ করতে হতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা কেবল নদীভাঙন রোধে বালির বস্তা ব্যবহারেই। জুলাই ২০১৬ সালে তিনি বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাকে রাষ্ট্রবিরুদ্ধ কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্টতার দরুণ অভিযুক্ত করেন। সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আহ্বান করেন।

 

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

সংসদ সদস্য

সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি

সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

 

সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

 

অবস্থান

সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণত সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment