বাংলাদেশ সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ জব্দ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশীয় সম্পদ ৫৫,৬৩৮ কোটি টাকা এবং বিদেশে ১০,৫০৮ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, মোট ৬৬,১৪৬ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্পদধারীরা আর তাদের সম্পদ বিক্রি, হস্তান্তর বা ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবে না।
বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল, দেশের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মুদ্রা পাচারের প্রতিরোধ। জাতীয় সমন্বয় কমিটির ৩০তম বৈঠক সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধার এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে প্রযোজ্য আইন, ২০১২-এর ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হবে।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১১টি মামলা নিয়ে আলোচনা হয়। যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দলের কার্যক্রম, অভিযোগপত্র দ্রুত দাখিল এবং মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশ আগামী ২০২৭-২৮ সালে চতুর্থ পর্বের মিউচুয়াল মূল্যায়ন সম্পন্ন করবে। বৈঠকে এ মূল্যায়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করে প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্র সচিব, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, সিআইডি প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিনিধিরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ দেশের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ বাড়াবে এবং ভবিষ্যতে মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি সরকারের দৃঢ় নীতি এবং আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পদ রক্ষা ও আইনগত কঠোরতার প্রতিফলন।