সকালেই ১৫ ডিগ্রি! রাজধানীতে শীতের হঠাৎ আক্রমণ

ঢাকায় শীত নামার ঘোষণায় যেন শুক্রবারের সকালটি ছিল সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী। ডিসেম্বরের শুরু থেকেই শীতের আমেজ থাকলেও ১২ ডিসেম্বরের সকালটি যেন পুরো পরিস্থিতিকে বদলে দিল। রাজধানীর নাগরিকেরা ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গেই শীত অনুভব করতে শুরু করেন, যা ছিল গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক তীব্রতর।

সকাল ৬টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে, যা দ্রুতই নেমে আসে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। ঢাকার মতো ব্যস্ত নগরীতে শীতের এমন তীব্রতা সাধারণত ডিসেম্বরের শেষভাগে দেখা যায়। ফলে এই তাপমাত্রা পতনকে শীতের মৌসুমের আগাম সংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বাতাসে আর্দ্রতা ৮৫ শতাংশ থাকায় শীতের অনুভূতি আরও দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। কারণ আর্দ্রতা বেশি থাকলে শরীর তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে না, ফলে ঠান্ডা বেশি লাগে। বিশেষ করে যারা ভোরে বাজারে যান, অফিসে বের হন বা রাস্তায় শ্রমজীবী কাজ করেন, তারা সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভব করেছেন।

ঢাকা আকাশ ছিল পুরোপুরি পরিষ্কার; এর ফলে সূর্যের আলো ওঠার আগ পর্যন্ত শীত আরও তীব্র অনুভূত হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা শীতল বাতাসই মূলত এই তাপমাত্রা পতনের জন্য দায়ী। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার, যা রাতের তুলনায় দিনে আরও বাড়ছে। এতে ঘন শীতের চাপ অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে দিনের তাপমাত্রা প্রায় একই থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ দিনের বেলা হালকা রোদের দেখা মিললেও শীতের মধ্যেই দিন কাটবে। সন্ধ্যার পর আবার তাপমাত্রা কমবে এবং রাত গভীর হলে আরও ঠান্ডা নামবে—এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আগামী তিন দিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী সারাদেশেই শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।

শীত বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষকে সাবধানে চলাফেরা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শিশুরা ও বয়স্ক ব্যক্তিরা ঠান্ডা-জনিত অসুস্থতায় ভুগতে পারেন। তাই ঘুমানোর সময় যথাযথ পোশাক, ঘরের জানালা বন্ধ রাখা ও উষ্ণ খাবার খাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।