শেরপুরে চারদিনের নিখোঁজ শিশুর দেহ উদ্ধার

শেরপুরের নকলা উপজেলার কায়দা মধ্যপাড়া (বেগুনপট্টি) এলাকার একটি বাড়ির পাশে ডোবা থেকে নিখোঁজের চারদিন পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে উদ্ধার করা শিশুটি রেশমি আক্তার (৭)। রেশমি ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলামের কন্যা।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিপন চন্দ্র গোপ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে খেলাধুলার জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে রেশমি নিখোঁজ ছিল। পরিবারের কাছে এক পর্যায়ে তাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও যখন তার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, তখন তার বাবা মো. সাইফুল ইসলাম সন্ধ্যায় নকলা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন বাড়ির পাশের পুকুরে একটি মরদেহ ভেসে ওঠার সংবাদ পান। মরদেহটি শনাক্ত করলে তা রেশমি আক্তারের বলে নিশ্চিত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। সুরতহাল শেষে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, পুকুরটি শিশুটির বাড়ির কাছাকাছি এবং সাধারণত স্থানীয় শিশুরা এখানে খেলাধুলা করে। মৃতদেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার কারণে শিশুটি ডোবায় পড়ে যেতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে সঠিক কারণ জানা যাবে।

নকলা থানার ওসি আরও বলেন, “পরিবারকে সহায়তা করা হচ্ছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাস্থল ও সময়ের তথ্য (সংক্ষেপে):

বিষয়তথ্য
শিশু নিহতের নামরেশমি আক্তার
বয়স৭ বছর
নিখোঁজের তারিখ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
মরদেহ উদ্ধার তারিখ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, সকাল ১০টা
উদ্ধার স্থানবাড়ির পাশে ডোবা, কায়দা মধ্যপাড়া, নকলা
পরিবারের নামমো. সাইফুল ইসলাম (পিতা)
থানার কর্মকর্তাওসি রিপন চন্দ্র গোপ

শেরপুরবাসী ও পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ময়নাতদন্তের ওপর নির্ভর করছে।