রেকর্ডধারী তামিমের অলরাউন্ড শোয়ে আয়ারল্যান্ড বিধ্বস্ত, সিরিজ বাংলাদেশের

বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি রূপ নিল টাইগারদের একতরফা আধিপত্যে। তানজিদ তামিম—যিনি এক ম্যাচে পাঁচ ক্যাচ ধরে টি–টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন—সেদিন ব্যাট হাতে নেমেও একইরকম শীতল মাথার নির্ভরতা দেখালেন। ৮ উইকেটের সহজ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকরা।

১১৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিম প্রথম থেকেই দেখান শান্ত কিন্তু কার্যকর ব্যাটিং। ৩৬ বলে তাঁর অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস ছিল ইনিংস গড়ার আদর্শ রূপ। তাঁর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ইমন ২৬ বলে ৩৩ রান করে দলকে এগিয়ে দেন। লিটন ব্যর্থ হলেও সাইফ খান কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ১৯ রানে। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ শুরু থেকেই ধরে রাখে এবং শেষে ৩৮ বল আগে জয় তুলে নেয়।

এর আগে আয়ারল্যান্ড ব্যাটিংয়ে শুরুটা করেছিল ভালোভাবেই। স্টার্লিংয়ের ৩৮ রানের ইনিংস ছিল আক্রমণাত্মক। কিন্তু তাঁকে আউট করে ম্যাচের গতি বদলে দেন রিশাদ হোসেন। সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন স্টার্লিং। এরপর যেন একের পর এক উইকেট হারিয়ে ধসে পড়ে পুরো আয়ারল্যান্ড ইনিংস।

টিম টেক্টর কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ১০ বলে ১৭ রান করে। কিন্তু শরিফুল ইসলামের গতি তাঁকে বোল্ড করে ফেরায়। নিচের সারির ব্যাটারদের মধ্যে কেউই দাঁড়িয়ে থাকার মতো দৃঢ়তা দেখাতে পারেননি। ডেলানি, কাম্ফার বা হ্যারি টেক্টর—কেউই সফল হতে পারেননি।

বাংলাদেশের বোলাররা এদিন ছিলেন শৃঙ্খলাবদ্ধ। মুস্তাফিজুর রহমান তাঁর পরিচিত কাটারে সফরকারীদের বিপাকে ফেলেন এবং নেন ৩ উইকেট। রিশাদও সমান উইকেট নেন ৩টি। শরিফুল শুরুতে ২ উইকেট তুলে নিয়ে আয়ারল্যান্ডকে আরও চাপে ফেলেন। মেহেদী এবং সাইফুদ্দিন একটি করে উইকেট তুলে নিয়ে বোলিং সাফল্য সমাপ্ত করেন।

ম্যাচের শেষের দিকে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আয়ারল্যান্ড একের পর এক উইকেট হারায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারও খেলতে পারেনি তারা, ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায়।

পাঁচ ক্যাচে বিশ্বরেকর্ড, ব্যাট হাতে ফিফটি, তারপর সিরিজ জয়—তানজিদ তামিমের এই পারফরম্যান্স বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে রইল।