চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুর গ্রামের শীলপাড়ায় সম্প্রতি ঘটে এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। দুর্বৃত্তদের পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগে সুখ শীল ও অনিল শীল এই দুই পরিবারের স্বপ্নের ঘর এক মুহূর্তে ছাই হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা সেই মুহূর্তে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, কারণ ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র, এবং সঞ্চিত অর্থসহ সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যায়। নিঃস্ব এই পরিবারগুলো আতঙ্ক, অনিশ্চয়তা এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়।
এই দুঃসময়ের মুহূর্তে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট রাউজান উপজেলা সভাপতি এবং বৃহত্তর সুন্নি জোটের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ আল্লামা ইলিয়াস নূরী। তিনি ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারের খোঁজখবর নেন, তাদের মানসিক সান্ত্বনা দেন এবং পাশে থাকার দৃঢ় আশ্বাস দেন।
অধ্যক্ষ নূরী বলেন :
“মানুষ মানুষকে ভালোবাসলে সমাজে শান্তি ফিরে আসে। ধর্মের পরিচয় নয়—বিপদে পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় ইবাদত।”
তার এই মানবিক বার্তা স্থানীয়দের হৃদয়ে এক আলাদা উদ্দীপনা জাগিয়ে দেয়। তিনি বলছেন, মানবতা সবসময়ই ধর্মের দেয়াল ভেঙে একসাথে দাঁড়ানোর শক্তি রাখে।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন:
| পদবি/সংগঠন | নাম |
| চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক | মুহাম্মদ ইছমাইল |
| যুবসেনা উত্তর জেলা সভাপতি | আলমগীর হোসাইন |
| যুবসেনা রাউজান দক্ষিণ সভাপতি | আমান উল্লাহ আমান |
| যুবসেনা রাউজান উত্তর সভাপতি | এম এ রাইহান |
| যুবনেতা | আব্দুস সাত্তার |
| যুবনেতা | নুরুল ইসলাম পারভেজ |
| ছাত্রসেনা রাউজান উত্তর সভাপতি | তাজুল ইসলাম আসিফ |
| ছাত্রনেতা | মুহাম্মদ আবু হাসান |
উপস্থিত নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। তারা প্রশাসনের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই সহমর্মী উদ্যোগ তাদের মধ্যে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থী, যুবক এবং এলাকার অন্যান্য মানুষ এগিয়ে এসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ান। তারা প্রয়োজনীয় খাদ্য, জিনিসপত্র এবং সাময়িক আশ্রয় দেয়ার উদ্যোগ নেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট বিপর্যয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমাজের সংহতি। রাউজানের এই ঘটনা তার প্রমাণ। যখন একটি কমিউনিটি একত্রিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়, তখন শুধু অর্থিক নয়, মানসিক ও সামাজিক পুনর্বাসনও দ্রুত সম্ভব হয়।
অধ্যক্ষ নূরীর মানবিক উদ্যোগ এবং স্থানীয় নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রাউজানের সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাঠাচ্ছে—দুর্যোগের মুহূর্তে ধর্ম, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থার পার্থক্য ভুলে গিয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই সত্যিকারের মানবিক দায়িত্ব।
