রপ্তানি কমেছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে , পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও কমেছে রপ্তানি। ডলার সংকটে পণ্য নিতে পারছে না বলে অজুহাত দিচ্ছে ভারত ও ভুটান।
প্রতিবেশী তিন দেশ ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে দেশের সড়কপথে সহজ যোগাযোগব্যবস্থা হচ্ছে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। কিন্তু এসব দেশ থেকে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হচ্ছে, তার বিপরীতে রপ্তানি হচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডলার সংকট দেখিয়ে ভারত ও ভুটান পণ্য নিচ্ছে না। আর নেপাল পণ্য কিনলেও তার পরিমাণ খুবই সামান্য। এ অবস্থায় আমদানি-রপ্তানি ভারসাম্য বজায় রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
রপ্তানি কমেছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে
এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এনবিআর থেকে বা আমাদের সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ নেয়, তাহলে আমাদের ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা হয়।’

পঞ্চগড়ের চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলা বলেন, ‘রপ্তানির ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, রপ্তানি পণ্য বাড়ানো সম্ভব। এবং এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানির যে অসামঞ্জস্য রয়েছে, সেটি আমাদের কমিয়ে আনতে হবে।’
ভারত ও ভুটান পণ্য আমদানি করছে না উল্লেখ করে পঞ্চগড় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন, ‘আমরা এ বন্দর দিয়ে শুধু নেপালেই পণ্য রপ্তানি করি। ভারত ও ভুটানে আমরা পণ্য রপ্তানি করতে পারি না। কাজেই এই দুই দেশে যদি রপ্তানি বাড়ানো যায়, তাহলে রাজস্ব বাড়বে। পাশাপাশি ব্যবসাও বাড়বে।’

এদিকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘অতি সম্প্রতি এ বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি দুটোই কমে গেছে। যার মূল কারণ হচ্ছে দেশের বর্তমান আর্থসামাজিক পরিস্থিতি। বিশেষ করে ডলারের সংকট।’

উল্লেখ, ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিনই প্রায় ৩০০টি পণ্যবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করছে আর বিপরীতে রপ্তানি হচ্ছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক পণ্য।
আরও দেখুনঃ