যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন নিরাপত্তার আশঙ্কায় ইউরোপের বাইরে থাকা ১৯টি দেশের নাগরিকদের সব ধরনের বৈধ অভিবাসন কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। এই স্থগিতাদেশে গ্রিন কার্ড, নাগরিকত্ব (ন্যাশনালাইজেশন) এবং অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত। প্রশাসন বলেছে, জাতীয় ও জননিরাপত্তার ঝুঁকি বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Table of Contents
সীমাবদ্ধতার পেছনের কারণ
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নাগরিকদের স্থগিত থাকা আবেদন পুনঃপর্যালোচনার মধ্যে পড়বে। প্রয়োজনে আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার বা পুনরায় সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। ওয়াশিংটনে সাম্প্রতিক এক হামলার ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে একজন আফগান নাগরিক একজন মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে হত্যা করেন এবং আরেকজনকে আহত করেন। এ ছাড়া সোমালিয়ার নাগরিকদের বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর বক্তব্যও নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধির একটি কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে।
স্থগিতাদেশের পরিধি
এই নতুন নির্দেশনায় ১৯টি দেশের নাগরিকদের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
| দেশ | দেশ | দেশ |
|---|---|---|
| আফগানিস্তান | সোমালিয়া | বার্মা |
| চাড | কঙ্গো প্রজাতন্ত্র | ইকুয়েটোরিয়াল গিনি |
| এরিত্রিয়া | হাইতি | ইরান |
| লিবিয়া | সুদান | ইয়েমেন |
| বুরুন্ডি | কিউবা | লাওস |
| সিয়েরা লিওন | টোগো | তুর্কমেনিস্তান |
| ভেনেজুয়েলা | – | – |
এই দেশগুলোর নাগরিকদের ন্যাশনালাইজেশন অনুষ্ঠান, সাক্ষাৎকার এবং স্ট্যাটাস পরিবর্তনের জন্য নির্ধারিত সাক্ষাৎকার বাতিল করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প অভিবাসন নীতি কঠোর করার দিকে জোর দিয়েছেন। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছেন এবং এবার বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়াকেও সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রশাসনের দাবি, এই পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন নীতিকেও দায়ী করেছেন।
বিশ্লেষণ
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন (AILA) জানিয়েছে, এই নির্দেশনার ফলে ১৯টি দেশের নাগরিকদের অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে এবং তাদের নাগরিকত্ব বা স্থায়ী বসবাসের আবেদন নিয়ে কোনো নতুন কার্যক্রম এখন শুরু করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এবং নিরাপত্তার নামে রাজনৈতিক প্রভাবও রয়েছে।
সংক্ষেপে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ১৯টি দেশের নাগরিকদের জন্য বৈধ অভিবাসনের প্রবেশদ্বার কঠোরভাবে বন্ধ করেছে, এবং আন্তর্জাতিকভাবে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে ওয়াশিংটন ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া প্রদান করছে
