বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় মুরগি চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত এক স্কুলছাত্র স্বাধীন ইসলাম (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় এর আগে আরও একজন নিহত হয়েছেন। জোড়া হত্যাকাণ্ডের কারণে এলাকায় উত্তেজনা এবং থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নিহত স্বাধীন ইসলাম স্থানীয় রামচন্দ্রপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। গত ৯ মে একই সংঘর্ষে স্বাধীন ইসলামের মামাতো ভাই ও প্রতিপক্ষ দলের সদস্য তরিকুল ইসলাম ভুট্টো (৫০) ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত হন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের মে মাসে গাবতলী দুর্গাহাটার কিত্তনীয়া গ্রামে ৪২টি মুরগি চুরির ঘটনা থেকে বিরোধের সূত্রপাত হয়। মুরগির খামার মালিক জহুরুল ও খায়রুলদের সঙ্গে স্বাধীনদের দলের সদস্যদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়, পরে মামলা এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি স্বাধীন ও তার সহযোগীরা খামার মালিক খায়রুল এবং তার দুই ভাইকে কুপিয়ে আহত করেন। প্রতিশোধ হিসেবে ৯ মে খায়রুল ও সহযোগীরা স্বাধীনকে কুপিয়ে আহত করেন।
সেই দিন সন্ধ্যায় দুর্গাহাটার রামচন্দ্রপুর বাজার থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন ভুট্টো। কীর্তনীয়া বাজারে স্বাধীন ইসলামের অনুসারীরা তাঁকে একা পেয়ে হত্যা করেন। ভুট্টো হত্যার ঘটনায় স্বাধীন ইসলামের পরিবার বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তবে পরিবারের দাবি, এটি শুধুমাত্র মুরগি চুরির বিরোধ নয়, জমিজমা সংক্রান্ত পুরনো দ্বন্দ্বেরও অংশ।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার জানান, নিহত স্বাধীন ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিলাইভ/টিএসএন
