মিডল্যান্ড ব্যাংক আর্থিক সহায়তা দিলো বেঙ্গল ইনস্টিটিউটকে

মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবার ১০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টসকে, যা প্রখ্যাত স্থপতি মুহরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের উপর একটি ব্যাপক প্রকাশনার জন্য ব্যবহৃত হবে।

মোট অনুদানের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং ফান্ড থেকে দেওয়া হয়েছে, যা ব্যাংকের চলমান কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (CSR) অংশ হিসেবে এসেছে। বাকি ৫ লাখ টাকা ব্যাংক পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছাসেবী অবদানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি স্থাপত্য ও সাংস্কৃতিক গবেষণাকে উৎসাহিত করার জন্য একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এক অফিসিয়াল মিডিয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

১৪ ডিসেম্বর ২০২৫-এ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আহসান-উজ জামান নিজে চেকটি বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের গবেষণা ও নকশা পরিচালক মিসেস নুসরাত সুমাইয়ার হাতে প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কর্মকর্তা মোঃ রাশাদুল আনোয়ার (PRD) এবং ইসলামী ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ সাকিবুজ্জামানসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, যারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

এই আর্থিক সহায়তা “মুহরুল ইসলাম: অ ফিউচার আর্কিটেক্ট” শীর্ষক প্রকাশনাটি সম্পন্ন করতে সহায়তা করবে। এটি স্থপতি মুহরুল ইসলামের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে আর্কিটেক্ট মুহরুল ইসলাম সেন্টেনারি প্রজেক্টের একটি মূল অংশ। এই মহৎ প্রকল্পে একটি স্মারক অনুষ্ঠান, বক্তৃতা সিরিজ, স্মৃতিচিত্র এবং প্রকাশনা অন্তর্ভুক্ত, যা ২০২৬ সালের শুরুতে প্রকাশিত হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে মোঃ আহসান-উজ জামান ব্যাংকের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “জাতীয় প্রতিভাদের সম্মান প্রদর্শনের পাশাপাশি এটি ভবিষ্যতের স্থপতি, ডিজাইনার ও নগর পরিকল্পনাকারীদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।” মিসেস নুসরাত সুমাইয়া আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই সহায়তা ইনস্টিটিউটের মুহরুল ইসলামের জীবন ও কর্মের নথিবদ্ধকরণ এবং প্রচারের উদ্যোগকে উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন করবে।

মিডল্যান্ড ব্যাংক পরিবার ও বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের এই সহযোগিতা প্রমাণ করে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল উদ্যোগকে উৎসাহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং বাংলাদেশের স্থাপত্য ঐতিহ্য রক্ষা ও উদযাপনে তাদের অবদান দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হয়।