মানুষের টাকাগুলো শুষে নিয়েছে আলুর সিন্ডিকেট | সিন্ডিকেট করে আলুর কোল্ডস্টোরেজগুলো সাধারণ মানুষের টাকাগুলো শুষে নিয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আমরা অসহায় কিছুই করতে পারিনি। আমরা বেশি চাপ দিলে তারা বাজার থেকে সব আলু তুলে নিয়ে নিয়ে যায়। আলুতে আমরা সয়ংসম্পূর্ণ। আলুতে আমাদের ঘাটতি নেই।
বৃহস্পতবিার (৫ অক্টোবর) ফরিদপুর সদর উপজলোর হলরুমে ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলরে বিনা উদ্ভাবতি উচ্চ ফলনশীল ও জনপ্রয়ি জাতসমূহ সম্প্রসারণ এবং শস্য বিন্যাসে তলে ফসলরে অর্ন্তভূক্তকরণ র্কমশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলনে।
মানুষের টাকাগুলো শুষে নিয়েছে আলুর সিন্ডিকেট : কৃষিমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব কৃষিবীদ ড. ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে তিনি আরও জানান, ফরিদপুর অঞ্চল পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত। কৃষক পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পায় না। আমরা পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছি।
ফরিদপুরে ৫০-৬০টির মত ব্যবহার হচ্ছে। এখান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গত ৫ মাসে এ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে ৩ থেকে ৫ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। এটা খুব কার্যকরী হচ্ছে। এ প্রযুক্তি আমার আরও ব্যাপক হারে আগামীতে দেওয়া হবে। আমার সঠিক ভাবে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারলে আগামীতে আমাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না।
তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা হবে সংবিধানের সুস্পষ্ট নিয়ম অনুসারে। আর নির্বাচন পরিচালনা করবেন নির্বাচন কমিশন। তখন সর্ব ক্ষমতায় থাকবে নির্বাচন কমিশিন। প্রধানমন্ত্রী তখন শুধু রুটিন ওয়ার্ক কাজ করবেন। নির্বাচনের সামনে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্র চলছে। নানান চক্র এর পেছনে কাজ করছে। তারা (বিএনপি) ১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল।
হরতাল অবরোধ দিয়ে অচল করতে চেয়েছিল। ১৫০ জন নিরিহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ছিল। গণতন্ত্রের নামে চরম বর্বরতা দেখিয়েছিল। গাড়ির দরজায় তালা দিয়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মেরে ছিল। এর থেকে বিভৎস আর কি হতে পারে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা আবারও হুমকি দিচ্ছে বাংলাদেশকে অচল করে দেবার। তারা বলছে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টায় ব্যাস্ত আছে। আবারও দেশে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে।
এটা দেশের জন্য, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। আপনারা সচেতন হউন। সচেতনতার সাথে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে। দেশের উন্নয়নের কথা বলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেদের টাকায় আমাদের জন্য পদ্মা সেতু বানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাবেই বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। বাহাত্তোর তিহাত্তোরে অনেক দুর্ভিক্ষের মোকাবিলা করেছি। কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আজ আমার খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। যা নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমে ও কৃষকের ঘামের অবদান। এখন চালের দাম নিন্মমুখি।
কৃষি বিভাগের কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, শুধু চাকরি নয় পেশাকে জীবিকা হিসেবে নিতে হবে। যে কৃষি ও কৃষক দেশকে বাচিঁয়ে রেখেছে। তাদেরকে আপন করে নিতে হবে। প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই কৃষিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছেন, প্রনোদনা দিয়েছেন প্রান্তিক ও দরিদ্র কৃষককে।
