মঈন আলীর বড় সিদ্ধান্ত: আইপিএলকে পিছনে ফেলে পিএসএলের পথে ইংলিশ অলরাউন্ডার

বিশ্ব ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর প্রসার যতই বাড়ছে, ততই বদলে যাচ্ছে খেলোয়াড়দের অগ্রাধিকার। আর সেই পরিবর্তনের সবচেয়ে আলোচিত উদাহরণ এখন মঈন আলী। বিপিএলে বাজিমাত করা এই ইংলিশ অলরাউন্ডার এবার এমন এক সিদ্ধান্ত নিলেন, যা ভারত–পাকিস্তান ক্রিকেট রাজনীতির প্রেক্ষাপটে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।

আইপিএলে বহু বছর খেলেছেন মঈন। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে গড়ে তুলেছিলেন দুর্দান্ত সমন্বয়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়েও তাঁর ব্যাট–বল সমান কার্যকর ছিল। সর্বশেষ কেকেআর তাঁকে দলে নিলেও নিয়মিত সুযোগ পাননি।

কিন্তু এবার তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি নিজেই ঘোষণা দিলেন—এই মৌসুমে তিনি পিএসএলে খেলবেন।

ঘোষণা দিয়েই লিখলেন, “পিএসএল আমাকে সবসময় টেনেছে। এখানকার দলগুলো শক্তিশালী, প্রতিযোগিতা তীব্র। দর্শকদের আবেগ এমন, যা ক্রিকেটারদের ভিতর থেকে অনুপ্রেরণা জাগায়।”

মঈনের পারিবারিক শিকড় পাকিস্তানে। তাই পাকিস্তানের মাটিতে খেলা তাঁর জন্য বিশেষ আবেগপূর্ণও বটে। পাশাপাশি লিগটির মানও প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে। বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতিও পিএসএলের মর্যাদা বাড়িয়েছে।

আইপিএলে তাঁর পরিসংখ্যান চমৎকার—৭৩ ম্যাচ, ১১৬৭ রান, ৪১ উইকেট। একজন অলরাউন্ডার হিসেবে এটি অসাধারণ সাফল্য। তবুও পিএসএলের প্রতি তাঁর আকর্ষণ কেন?

বিশ্লেষকরা বলছেন, মঈনের আত্মবিশ্বাস, নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে চাওয়া এবং পাকিস্তানের দর্শকদের সঙ্গে তাঁর আবেগী সম্পর্কই তাঁকে আইপিএল নয়, পিএসএল বেছে নেওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে। উপরন্তু, পাকিস্তানে খেলার নিরাপত্তা ও অবকাঠামো এখন অনেক উন্নত—যা বিদেশি তারকাদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।

বিপিএলেও নিয়মিত মুখ মঈন। ২২ ম্যাচে ৪৬৭ রান ও ২২ উইকেট তাঁর ধারাবাহিকতার প্রমাণ। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তাঁর অভিজ্ঞতা পিএসএলের দলগুলোর জন্য বিশাল সম্পদ হবে।

ডু প্লেসিসের মতো সুপারস্টারও এর আগে পিএসএলকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। মঈনের যোগদান পিএসএলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে নিঃসন্দেহে।

সব মিলিয়ে, মঈন আলীর সিদ্ধান্ত শুধু লিগ বদলের ঘটনা নয়—এটি বিশ্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ভূ-রাজনীতির একটি নতুন বার্তা।