ভিক্ষাবৃত্তি এবং অননুমোদিত কাজের অভিযোগে সৌদি আরব ২৪ হাজার পাকিস্তানি নাগরিককে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। একই অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ৬ হাজার এবং আজারবাইজান থেকে ২,৫০০ নাগরিককে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে মিলিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালে মোট ৫১ হাজার পাকিস্তানি নাগরিককে বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)-এর মহাপরিচালক আগা রফিউল্লাহ জানিয়েছেন, এই তথ্য জাতীয় পরিষদের (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) ওভারসিজ পাকিস্তানি ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকে এফআইএ ডিজি কমিটিকে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন এবং বিভিন্ন দেশের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি তুলে ধরেন।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ২৪ হাজার পাকিস্তানি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত একই অভিযোগে ৬ হাজার এবং আজারবাইজান থেকেও ২,৫০০ পাকিস্তানি দেশে ফিরে এসেছেন। এফআইএ প্রধান আরও জানান, কিছু ব্যক্তি উমরাহ পালনের অজুহাতে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে তারা প্রকৃতপক্ষে ইউরোপ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রস্তুত ছিলেন। এই ধরনের বিষয়েও প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষে প্রত্যাবাসন কার্যকর করা হয়েছে।
এফআইএ ডিজি আরও জানিয়েছেন, চলতি বছরে ৮৫ লাখ মানুষ বিদেশ ভ্রমণ করেছেন এবং এ সংক্রান্ত ২২৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া, মাত্র তিন মাসের মধ্যে ৪৫০ জনকে ইরান সীমান্ত পারাপারের সময় আটক করা হয়েছে। এসব তথ্য প্রমাণ করে যে, বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের মধ্যে কিছু অনিয়ম এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জাতীয় কমিটির বৈঠকে বিদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৈধ ভিসা কার্যক্রমের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ফেডারেল এজেন্সি সতর্ক করেছেন, যারা বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তি, অননুমোদিত কাজ বা অযৌক্তিক ভ্রমণের চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপ দেশের নিরাপত্তা এবং বৈধ অভিবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।