বেগম রাবেয়া চৌধুরী বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার রাজনীতিবিদ যিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
Table of Contents
বেগম রাবেয়া চৌধুরী । বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ

প্রাথমিক জীবন
রাবেয়া চৌধুরী কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার স্বামী নাসির উদ্দিন চৌধুরী (মৃত্যু: ২০ মে২০২০) অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তাদের দুই ছেলে, এক মেয়ে। তার পিতা আশরাফ উদ্দীন চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী ও বেংগল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। মাতা রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী সাহিত্যিক ও কবি ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
রাবেয়া চৌধুরী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, কুমিল্লা জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক, সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের সভাপতি। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় মহিলা সংস্থা কুমিল্লার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার ১৯৭৮ সালে ‘জাগদল’ গঠন করলে সাবেক মন্ত্রী ফাতেমা কবির ও রাবেয়া চৌধুরীকে বৃহত্তর কুমিল্লার (কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর) যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত করেন।

তিনি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের মহিলা আসন ২৬, পঞ্চম ও ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের মহিলা আসন ২৭ ও অষ্টম জাতীয় সংসদের মহিলা আসন ১৯ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন।
সংসদ সদস্য
সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

পরিচিতি
সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইন ও নাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
আরও দেখুনঃ