বিশ্ব পুরুষ দিবসঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবস যেভাবে আলোচিত হয় , ততটা পুরুষ দিবস আলোচিত নয়। আলোচনা কম হোক বেশি হোক , ১৯ নভেম্বর প্রতিবছর পালন করা হয় বিশ্ব পুরুষ-দিবস। আজ ১৯ নভেম্বর অর্থাৎ বিশ্ব-পুরুষ দিবস। বাবা, ভাই, বন্ধু, সহকর্মী, স্বামী বা প্রেমিক যিনি হোন না কেন, কাছের পুরুষটিকে শুভেচ্ছা জানান আজই । দিবস উপলক্ষে দিতে পারেন তাঁর পছন্দের কোনো উপহারও। কিন্তাঁতু তার আগে জানা যাক, বিশ্ব পুরুষ দিবস কোথা থেকে আর কীভাবে শুরু হলো ।
Table of Contents
বিশ্ব পুরুষ দিবস , কেন পালন করা হয় এই দিবস

বিশ্ব পুরুষ দিবস
বিশ্ব পুরুষ দিবস দিবসটি নিয়ে নানা তথ্যে ভরপুর ইন্টারন্যাশনাল মেনস ডে ডটকমে ওয়েবসাইট। পুরুষ দিবস পালনের শুরুটা কীভাবে হলো, কেন পালন করা হয়, কীভাবে পালন করা যায়—সব তথ্যই রয়েছে এখানে। এই ওয়েবসাইটের বরাতে নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বিশ্ব-পুরুষ দিবসের আরও কিছু তথ্য।
দিবসটির শুরু যেভাবে
১৯৯৯ সালের ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে বিশ্ব-পুরুষ দিবস। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিরোম টিলাকসিংয়ের উদ্যোগে এ দিবস পালন শুরু হয়।
গত শতকের ষাটের দশকেই পুরুষ দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়েছিল। ১৯৬৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের একটি নিবন্ধে বলা হয়, ২৩ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস হিসেবে পালন করতে আগ্রহী অনেকেই। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মতো একই ধরনের একটি দিবস পালন করতে চাচ্ছিলেন তাঁরা।

এর পরের দশক থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদাভাবে পুরুষ দিবস পালন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, কলম্বিয়া, রাশিয়া ও চীনে উদ্যাপন করা হতো দিবসটি। তবে ভিন্ন ভিন্ন এ উদ্যোগ তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। একসময় বন্ধও হয়ে যায়।
শেষমেশ ১৯৯৯ সালে জিরোম টিলাকসিংয়ের নির্ধারিত দিনটিই বিশ্ব-পুরুষ দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়। সে সময় ক্যারিবীয় অঞ্চলে দিবসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল।

পুরুষ দিবস কেন পালন করা হয়
ভুলেও ভাববেন না, নারী দিবসকে টেক্কা দিতে এসেছে বিশ্ব পুরুষ দিবস। পুরুষের মূল্যায়ন তুলে ধরতেই পালন করা হয় বিশ্ব পুরুষ দিবস। পরিবার, সমাজ ও দেশে পুরুষের অবদান ইতিবাচকভাবে তুলে ধরাই এ দিবসের লক্ষ্য।
বিশ্ব পুরুষ দিবসের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ দিক
কেবল চলচ্চিত্রের নায়ক বা খেলোয়াড় নয়, সাধারণ পুরুষও হতে পারেন আদর্শ। সৎ, পরিশ্রমী, মার্জিত স্বভাবের পুরুষদের রোলমডেল হিসেবে তুলে ধরা এ দিবসের উদ্দেশ্য।
পরিবার, সমাজ, স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি পুরুষের অবদানকে মূল্যায়ন করা।
পুরুষের স্বাস্থ্য ও মানসিক উন্নয়ন সাধন।
সামাজিক আচরণ, প্রত্যাশা ও আইনগত বিষয়ে পুরুষের প্রতি বৈষম্যগুলো তুলে ধরা।
নারী-পুরুষের লিঙ্গসমতার বিষয়টি জোরদার করা।
একটি নিরাপদ ও উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলা।
পুরুষ দিবস যেসব দেশে ঘটা করে পালন করা হয়, তার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, হাইতি, জ্যামাইকা, হাঙ্গেরি, মাল্টা ও ঘানা।
এবারের পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য
এ বছরের পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘নারী-পুরুষের আরও ভালো সম্পর্ক’। নারী ও পুরুষের সম্পর্কের উন্নয়ন ও লিঙ্গসমতাকে মাথায় রেখেই নির্ধারণ করা হয়েছে এমন প্রতিপাদ্য।

আরও দেখুনঃ
- ৭৫-এর পর সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
- বিএনপির অনেক নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আসেন : কাদের
- খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন সরকারের সহযোগিতা কামনা
- কাল জাতীয় শোক দিবস : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী
- নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন : ওবায়দুল কাদের