রাষ্ট্রীয় সাধারণ বীমা করপোরেশনের পুনর্বিমা আয় কমার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অপ্রকাশযোগ্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সরকার বিমা করপোরেশন আইনের পুনর্বিমা ধারা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে সংস্থার আয় ও ব্যবসা হ্রাস পাবে।
পুনর্বিমা হলো বিমা কোম্পানি ঝুঁকি কমানোর জন্য অন্য সংস্থা বা পুনর্বিমা কোম্পানির কাছে প্রিমিয়ামের বিনিময়ে অংশ বিক্রি করা। ৪৫টি বেসরকারি নন-লাইফ কোম্পানি বাধ্যতামূলকভাবে ৫০ শতাংশ পুনর্বিমা সাধারণ বীমা করপোরেশনে করতে হয়। বাকি ৫০ শতাংশ তারা ইচ্ছেমতো দেশি বা বিদেশি সংস্থায় দিতে পারে।
বর্তমান নিয়মে সাধারণ বীমা করপোরেশন বাধ্যতামূলক পুনর্বিমা থেকে আয় করে এবং অর্ধেক বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে ভাগ করে দেয়। ধারা বাতিল হলে সংস্থার আয় কমবে। এছাড়া সরকারি সম্পত্তি বা বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের বাধ্যতামূলক পুনর্বিমাও সংস্থার আয়ের বড় উৎস। খসড়ায় এটি উন্মুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে।
করপোরেশন জানিয়েছে, ২০২৪ সালে তারা ১ হাজার ১২২ কোটি টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে। পাঁচ বছরের গড় মুনাফা ৪০০ কোটি টাকা। সংস্থার মতে, পুনর্বিমা ধারা বাতিল হলে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।
আইডিআরএ খসড়া তৈরি করেছে, যেখানে বলা হয়েছে বিদেশি অর্থায়ন থাকা সরকারি প্রকল্পের পুনর্বিমা আন্তর্জাতিক মানের সংস্থা করবে। তবে সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে বৈদেশিক প্রকল্পের প্রিমিয়াম দেশে থাকবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মাইন উদ্দিন বলেন, সরকারি সংস্থার প্রতি গ্রাহকের আস্থা বেশি, বেসরকারি কোম্পানি দাবি মিটিয়ে দিতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তাই পুনর্বিমার কিছু অংশ বাধ্যতামূলক রাখা উচিত।
তথ্য
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| সংস্থা | সাধারণ বীমা করপোরেশন |
| পুনর্বিমা ধারা | বাতিলের প্রস্তাব |
| বাধ্যতামূলক পুনর্বিমা | ৫০% বেসরকারি কোম্পানি |
| ২০২৪ আয় | ১,১২২ কোটি টাকা প্রিমিয়াম |
| গড় মুনাফা (৫ বছর) | ৪০০ কোটি টাকা |
| সম্ভাব্য প্রভাব | আয় কমে, সরকারের ভর্তুকি প্রয়োজন |
| সরকারি প্রকল্পে বিদেশি অর্থায়ন | আন্তর্জাতিক মান প্রয়োজন, প্রিমিয়াম দেশে থাকবে না |
| খসড়া তৈরি করেছে | আইডিআরএ |
এজে
