মাগুরায় যৌথবাহিনীর হাতে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আশরাফুজ্জামান শামিম গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি দলীয় বহিষ্কারাদেশ উঠানোর মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় আবারও আইনের হাতে ধরা পড়েছেন।
গ্রেফতারি অভিযান মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মাগুরা শহরের ভায়না গ্রামের চোপদারপাড়ার বাড়িতে পরিচালনা করা হয়। অভিযানে যৌথবাহিনীর সদস্যরা শামিমকে অবৈধ অস্ত্রসহ ধরেন। এ সময় তার কাছ থেকে চায়না ম্যানুফ্যাকচার্ড একটি পিস্তল এবং ১১ রাউন্ড তাজা গুলি জব্দ করা হয়।
শামিম মাগুরা শহরের ভায়না গ্রামের মৃত বাকী চোপদারের ছেলে। তিনি জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি হলেও চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। পরে ১৭ নভেম্বর তার সদস্যপদ পুনর্বহাল করা হয়। যদিও বহিষ্কারাদেশ উঠলেও, এই সময়ও তিনি আইন অমান্য করার অভিযোগে আবারও গ্রেফতার হয়েছেন।
সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী জানান, “যৌথবাহিনীর সদস্যরা আশরাফুজ্জামান শামিমকে অবৈধ অস্ত্র এবং একটি চাকুসহ গ্রেফতার করেন। তাকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
মাগুরা জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক গোলাম জাহিদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত তথ্য নিচের টেবিলে দেওয়া হলো:
| বিষয় | তথ্য |
|---|---|
| গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি | আশরাফুজ্জামান শামিম |
| পদবি | সাবেক জেলা সভাপতি, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল |
| গ্রেফতারের তারিখ | ২ ডিসেম্বর ২০২৫ |
| গ্রেফতার স্থান | ভায়না গ্রামের চোপদারপাড়া, মাগুরা শহর |
| জব্দকৃত সামগ্রী | চায়না পিস্তল, ১১ রাউন্ড তাজা গুলি, ১টি চাকু |
| পূর্ববর্তী দলীয় ঘটনা | ২২ জানুয়ারি বহিষ্কার, ১৭ নভেম্বর বহিষ্কারাদেশ উঠে যায় |
| আইনগত ব্যবস্থা | সদর থানায় মামলা দায়ের ও আদালতে প্রেরণ |
স্থানীয় সূত্ররা জানিয়েছেন, শামিমের এই গ্রেফতারি ঘটনা স্থানীয় রাজনীতি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করছেন, অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার জন্য উদ্বেগজনক।
অভিযানের পর স্থানীয়রা এবং সাধারণ জনগণও শামিমের এই গ্রেফতারকে নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেছেন। যদিও রাজনৈতিক নেতারা এ বিষয়ে মুখ খোলেননি, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো এই ধরনের অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
