ফিলিস্তিন সংকটের বর্তমান অবস্থা, ইসরায়েল ও ফিলি-স্তিনের মধ্যকার সহিংসতা শীগ্রই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি আরও সতর্ক করে বলেছেন , এই সহিংসতা অঞ্চলটিকে একটি অনিন্ত্রিত সংকটে ডুবাতে পারে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিলম্বিত বৈঠকটি গতকাল বসে। বৈঠকটি গত শুক্রবারই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতায় বৈঠকটি পিছিয়ে যায়।
গতকাল রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস এই সতর্কতার কথা বলেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
ফিলিস্তিন সংকটের বর্তমান অবস্থা, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত অনিন্ত্রিত সংকটের সূত্রপাত করতে পারে

গতকাল পর্যন্ত ইসরায়েলি নৃশংস হামলায় গাজা, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় প্রাণহানি বেড়ে প্রায় ২০০ জন হয়েছে। ফিলিস্তিনে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫৫টি শিশু রয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলছে, ফিলি-স্তিন থেকে রকেট ছোড়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ইসরায়েলের ১০ জন নিহত হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘ লড়াই অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ’
চলমান সহিংসতাকে চরম ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেন জাতিসংঘের মহাসচিব। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই সহিংসতা শুধু অধিকৃত ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলই নয়, পুরো অঞ্চলকে একটি নিয়ন্ত্রণহীন নিরাপত্তা ও মানবিক সংকটে নিমজ্জিত করতে পারে। আরও চরমপন্থা উৎসাহিত করতে পারে।

গতকাল ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলি-স্তিনি নিহত হয়েছে। এবারের সংঘাতে এক দিনে এটাই সর্বোচ্চ প্রাণহানি। সবশেষ এই সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, রক্তপাত, সন্ত্রাস ও ধ্বংসের এই বোধহীন চক্র অবিলম্বে থামতে হবে।
ইসরায়েলের দখল করা পূর্ব জেরুজালেমে ৩ মে হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত বাধে। স্থানীয় ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের জমির দখল নিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত।

৭ মে জুমাতুল বিদায় জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে লাখো মুসলমানের জমায়েত হয়। ওই সময়ই বড় ধরনের সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে।
পরদিন পূর্ব জেরুজালেমের অন্যান্য অংশেও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ১০ মে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস গোষ্ঠী ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে। এরপরই শুরু হয়ে যায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা। পরদিন তেল আবিবে যেন রকেটবৃষ্টি শুরু করে হামাস। আর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গাজা সিটির ১২ তলার একটি ভবন। ওই ভবনে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কার্যালয় ছিল।
১১ মে সন্ধ্যায় সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে ১৩ মে। এদিন গাজার সীমান্তে সাঁজোয়া যান ও সেনা পাঠায় ইসরায়েল। এর পরদিন উদ্যাপন করা হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। এদিন আরও ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি-ইসরায়েলি সংঘাতের মূলে বিষয়টি জানতে হলে দশটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পেতে হবে:
১. কীভাবে এই সংঘাতের শুরু?
২. মধ্যপ্রাচ্যে কেন ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠা করা হয়?
৩. ফিলিস্তিনরা দুটি আলাদা ভুখন্ডে ভাগ হয়ে আছে কেন?
৪. ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনিরা কি কখনো কোন শান্তি চুক্তি করেছে?
৫. ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্য বিরোধের মূল বিষয়গুলো কী?
৬. ফিলিস্তিন কি কোন দেশ?
৭. যুক্তরাষ্ট্র কেন ইসরায়েলের প্রধান মিত্র? আর ফিলিস্তিনের সমর্থক কারা?
৮. ফিলিস্তিনি এলাকায় সর্বশেষ দফা সহিংসতার পেছনে কি?
৯. তাহলে কি এখন আমরা আরেকটি ‘ইন্তিফাদা’র সূচনা দেখছি?
১০. কী ঘটলে দুপক্ষের মধ্যে টেকসই শান্তি আসবে?
আরও দেখুনঃ