ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৪-১ জয়ের খবর শুনলেই প্রথমে মনে হয়—দারুণ এক প্রত্যাবর্তন, লিগে গতি পাচ্ছে দল। কিন্তু ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় প্রশ্নের পাহাড়। কারণ, যে দলটিকে তারা হারিয়েছে, সেই উলভস এমন এক দুর্দশার জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখান থেকে কোনও ক্লাবকে পরাজিত করাই খুব বড় কৃতিত্ব নয়।
উলভসের অবস্থা এতটাই করুণ যে, তাদের সমর্থকেরা ম্যাচ দেখতে এসেও নিজেদের দলের মালিকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, হতাশ হাতে গ্যালারি ছেড়েছে, ৫৪০ মিনিট পর গোল পাওয়ার আনন্দও টিকল মাত্র কয়েক মিনিট। এ দলকে হারিয়ে রেড ডেভিলসের আত্মবিশ্বাস কিছুটা বাড়লেও, এই জয়কে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মানদণ্ড হিসেবে ধরা যাবে না।
ইউনাইটেড যে ম্যাচে আগ্রাসী ফুটবল খেলেছে, সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে—এটা সত্য। ২৫ মিনিটের মধ্যেই ফার্নান্দেজ গোল করে এগিয়ে নেয় দলকে। দ্বিতীয়ার্ধে এমবেউমো ও মাউন্টের আক্রমণাত্মক খেলা ইউনাইটেডের দাপট নিশ্চিত করে। তবুও প্রশ্ন থাকে: দলের লড়াকু মানসিকতা কি ধারাবাহিকভাবে দেখা যাচ্ছে? উত্তর—না।
কারণ, এই দলটি বারবার হোঁচট খাচ্ছে মৌসুমে। কখনো জয়ের ধারায় গতি আসে, পরের ম্যাচেই হতাশা। সমর্থকরা তাই নিশ্চিন্ত নয়। তারা চাই ধারাবাহিক ইউনাইটেড—এক ম্যাচের রঙিন জয় নয়।
সুতরাং, প্রশ্ন থেকে যায়—এই জয় কি রেড ডেভিলসের ভবিষ্যৎ সফলতার ইঙ্গিত? নাকি দুর্বল দলের বিপক্ষে সাময়িক আত্মবিশ্বাস?
বিশ্লেষণ বলছে, পরবর্তী তিন ম্যাচই আসল পরীক্ষা। তার আগে এই জয়ে কাপড় ধোয়ার মতো সন্তুষ্টি হলেও, ‘বড় বদল’ দাবি করার সময় এখনও আসেনি।
