ফরিদপুরে পুলিশের ছদ্মবেশে বিএনপি নেতাকে হত্যা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় পুলিশের ভেজাল পরিচয়ে একদল সন্ত্রাসী ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে বিএনপির নেতা সাইফুল সর্দার ওরফে সাইফেল (৪৭) নামের ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। নিহত সাইফুল সর্দার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ জাটিগ্রাম এলাকার হবি সর্দারের ছেলে এবং সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পেশায় তিনি একজন কৃষক ছিলেন। এ ঘটনায় আরও একজন ব্যক্তি, ইসমাইল মোল্যা, গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাইফুল সর্দারের ওপর হামলা পূর্বশত্রুতার জের ধরে করা হয়েছে। উপজেলার তুহিন গ্রুপ ও জুয়েল গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গভীর রাতের এই হামলায় পুলিশের ছদ্মবেশে তুহিন গ্রুপের সদস্যরা সাইফুল সর্দারের ঘরে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে এবং হামলার প্রকৃত কারণ ও সম্ভাব্য অংশীদারদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, সাইফুল সর্দার এলাকায় একজন সুপরিচিত ও সম্মানিত রাজনৈতিক নেতা ছিলেন, যার মৃত্যুর খবর এলাকায় শোকের ছায়া ফেলেছে।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত তথ্য

বিষয়বস্তুবিবরণ
নিহতের নামসাইফুল সর্দার (সাইফেল)
বয়স৪৭ বছর
পেশাকৃষক
রাজনৈতিক পদসদর ইউনিয়ন বিএনপি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
আক্রান্তইসমাইল মোল্যা (গুরুতর আহত)
ঘটনা স্থানব্রাহ্মণ জাটিগ্রাম, সদর ইউনিয়ন, আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর
হামলার ধরনপুলিশ পরিচয়ে ছদ্মবেশে হামলা
সংশ্লিষ্ট গ্রুপতুহিন গ্রুপ (হামলাকারী), জুয়েল গ্রুপ (বিরোধী)
আটককৃত১ জন
ঘটনাকাল২৫ ডিসেম্বর, রাত

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, সাইফুল সর্দারের মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গ্রামের মানুষদের মধ্যে আতঙ্কের ছায়া বিরাজ করছে, বিশেষ করে গভীর রাতে হামলার ঘটনা স্থানীয়দের নিরাপত্তা সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের হামলা স্থানীয় আধিপত্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা বাড়াচ্ছে।

ফরিদপুর পুলিশ সুপার অফিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত ত্বরান্বিত করা হচ্ছে এবং পুলিশ এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে।